মোড়েলগঞ্জে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজে নবীনবরণ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
মোঃ ফিরোজ আহমেদ,মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
“এসো হে নবীন আলোর মিছিলে”—এই অনুপ্রেরণামূলক স্লোগানকে সামনে রেখে উচ্ছ্বাস ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণির নবীনবরণ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
২৬ অক্টোবর রবিবার সকাল ১০টায় কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ জামাল হোসেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর নীতিশ বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যক্ষ ইসলাম শিক্ষা বিভাগ ও সদস্য সচিব একাডেমিক কাউন্সিল মোঃ ছবীর আহমদ আখন্দয়, সাবেক সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল গফফার হাওলাদার, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রধান প্রভাষক মোঃ নেছার উদ্দিন, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন রিয়াজ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এইচ এম শহীদুল আলম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক প্রবীর কুমার দেবনাথ, প্রভাষক মোঃ মনিরুল ইসলাম, প্রভাষক মোঃ এমদাদুল হাওলার, প্রভাষক মোঃআবুল কালাম ফকির, সহকারী অধ্যাপক ,মোঃ শাজাহান হাওলাদার, শ্রী বেদান্ত হালদার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ বখতিয়ার হোসেন, সরকারি অধ্যাপক মোঃ হাফিজুর রহমান সহ সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ জসিম উদ্দিন হাওলাদার।
অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বক্তারা বলেন— “গুণগত ও টেকসই শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে সমাজ ও দেশ গঠনে তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”
অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য ছিল:
ভিশন: গুণগত ও টেকসই শিক্ষা নিশ্চিত করা।
মিশন: সময়োপযোগী শিক্ষা সম্প্রসারণ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল নবগঠিত “Future Nation Team”-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এ উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হচ্ছে UNDP, BIDA ও Grameenphone-এর সহযোগিতায় এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায়। কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত এই টিমের কলেজ অ্যাম্বাসেডরদের হাতে পরিচয়পত্র ও টিশার্ট তুলে দেওয়া হয়।
এই টিমের লক্ষ্য— যুব সমাজের দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উদ্যোক্তা গড়ে তোলার মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে পুরো কলেজ প্রাঙ্গণ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
