কেন্দুয়ায় গৃহবধূ কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষ রিপোর্টারঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে এক গৃহবধূর ওপর হামলা ও কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিরিন আক্তার (৩৫) গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- শিরিন আক্তারের স্বামী লিমন মিয়া প্রবাসে কর্মরত। এ সুযোগে একই গ্রামের রোকেল মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী ববিতা আক্তার (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত ছিলেন। রোকেল মিয়া তার স্বামীর দিক দিয়ে মামাতো ভাসুর এবং ববিতা আক্তার তার জা।
লিখিত অভিযোগে শিরিন আক্তার উল্লেখ করেন- রোকেল মিয়া প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি দিতেন। গত ১৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক ১টার সময় পারিবারিক সামান্য বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিবাদীদ্বয় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।
এ সময় তারা-ঘরের চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আনুমানিক পাঁচ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। শিরিন আক্তারের আত্মা চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বিবাদীদ্বয় প্রকাশ্যে হুমকি দেয়— সুযোগ পেলে তাকে ও তার সন্তানদের খুন করবে এবং বাড়িঘর দখল করবে। পরে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
এ প্রসঙ্গে সরেজমিনে গিয়ে জানতে চাইলে রুকেল মিয়া বলেন – শিরিন আমার ফুফাত ভাই লিমন মিয়া। লিমনের বউয়ের বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়। আমার ভাই লিমন মিয়া সৌদি প্রবাসী হওয়ায় বাড়িতে শুধুই তার স্ত্রী ও বাচ্চারা থাকে। আমি তাকে কু-প্রস্তাব দেই এবং মারধর করেছি কথাটি দুরভিসন্ধিমূলক এবং মিথ্যা। ঘটনার দিন আমার স্ত্রী ববিতার সাথে হাতাহাতি ও বাকবিতন্ডা হয় কিন্ত আমি তার গায়ে হাত দেইনি এই অভিযোগ মিথ্যা।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন- “অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।