নাটোর বড়াইগ্রামে বিএনপি কর্মীর জমিঅবৈধভাবে দখলের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন।

20250930_002353

মোঃ নাহিদ ইসলাম,নাটোর জেলা ক্রাইম রিপোর্টারঃ

নাটোরের বড়াইগ্রামের আহমেদপুর মৌজায় ৪৯৪ নম্বর খতিয়ানের প্রায় ১২ শতাংশ জমির মধ্যে আবুল বাশার শিহাবের অভিযোগ— আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদা প্রায় ২.৫৯ শতাংশ (প্রায় ৩ শতাংশ) অতিরিক্ত অংশ অবৈধভাবে দখল করে সেখানে একটি মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করেছেন। ভুক্তভোগী শিহাব জানিয়েছেন, উক্ত ভূমি তিনি দাদীর দেয়া হেবা/দান কবলায় প্রাপ্ত; পরে নুরুল হুদা ও আরিফ হোসেন ওই অংশ ক্রয় করলেও নুরুল হুদা অতিরিক্ত জমি জবরদখল করেন।

জমি দখলের ঘটনায় শিহাব আদালতে
মামলা করলে আদালত ওই নালিশি ভূমিতে
নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নুরুল হুদা সেখানে ক্লিনিক চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। ২৪ জুলাইর পরে শিহাব থানায় অভিযোগ করলে বড়াইগ্রাম থানা সালিশি বৈঠক আয়োজনে পুলিশ উভয় পক্ষকে ডাকে এবং দখল ছেড়ে দেওয়া বা ক্রয়ের পরামর্শ দেয়। তবু নানা টালবাহানায় নুরুল হুদা সালিশের সিদ্ধান্ত পালন করেননি—দাবি করেছেন ভুক্তভোগী।

শিহাব র‍্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোরেও অভিযোগ করেন এবং স্থানীয়ভাবে কয়েকটি সালিশও করা হয়; তবুও জমির নিষ্পত্তি না হওয়ায় তিনি এখন বিভিন্ন দরবারে রে নিজের জমি ফেরত চাচ্ছেন। স্থানীয় জোয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য দুলাল হোসেন ও প্রধান মোঃ আলী জানান, আদালত, থানার নির্দেশ ও গ্রাম্য প্রধানদের সালিসনামা অমান্য করে নুরুল হুদা জমি দখলে রেখেছেন এবং এলাকাবাসী চাইছেন দ্রুত নালিশি জমি শিহাবকে ফেরত দেয়া হোক।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জামায়াত নেতা আবুল হোসেন ও আমির হোসেনের জড়িত থাকার কথা বলা হলেও তাঁরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত নুরুল হুদা বলেন, তিনি সম্পূর্ণ দখলে রাখেননি এবং অন্যরাও জমি দখল করে থাকলে তারা ফিরিয়ে দিলে তিনি ফিরিয়ে দেবেন।

এলাকাবাসী আশা করছেন—জমি অবৈধ দখলমুক্ত হবে, দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শান্তি ফিরে আসবে।