গাজীপুর মহানগরের ৩৮ নং ওয়ার্ডে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম ইমন গাজীপুর মহানগরের ৩৮ নং ওয়ার্ডে চলছে জমজমাট মাদক ব্যবসা। হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত শতকরা ৫০ ভাগ মানুষ আসক্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন মাদকে যার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা ও গাজা হেরোইন এখন পাড়া মহল্লা অলি গলিতে ও দেখা যাচ্ছে হরহামেসা। সাধারণত এ সকল মাদক ব্যবসার কিছু জায়গা বেছে নিয়েছে আর এ সকল জায়গায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক যেমন ১।মুস্তফা মসজিদ রোড ২। বাহার মার্কেট দক্ষিণপাড়া ৩। আপন বাজার রোড থেকে একটু ভিতরে গিরিঙ্গির মোড় ৪। মোল্লা মার্কেট ৫। মোল্লা মার্কেট ব্রিজ সংলগ্ন ৬। হিন্দু বাড়ির মোড় থেকে একটু ভিতরে আবু মার্কেট মোল্লাবাড়ির মাজার রোড ৭। আদর্শ নগর থেকে শুরু করে ৩৮ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় মাদক বিক্রি করা হয় এ মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বর্তমান স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রী , বিভিন্ন পেশার শ্রমিক বৃন্দ, উপশক্তি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যন্ত প্রথম আইনের ধারায় প্রথম তফসিলের গ শ্রেনির ৪ নং ক্রমিক ভক্ত যে কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯ এর উপ ধারা ১ এর দফা ক অথবা খ এর লংঘন অনুসারে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর যদি কোনো ব্যক্তি পুনরায় কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ করেন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধের দণ্ড মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য এই আইনে সর্বোচ্চ যে দণ্ড রহিয়াছে উহার দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

(৩) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দ্বিতীয়বার দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর যদি কোনো ব্যক্তি পুনরায় কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ করেন তাহা হইলে উক্ত অপরাধের দন্ড মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অন্যূন ২০ (বিশ) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

(৪) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো 3[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে] যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদকসেবন ব্যতীত অন্য কোনোরূপ মাদক অপরাধী হিসাবে প্রতীয়মান না হন, তাহা হইলে উক্ত আদালত উক্ত ব্যক্তিকে মাদকাসক্ত ব্যক্তি বিবেচনাপূর্বক যে-কোনো মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রে স্বীয় অথবা পরিবারের ব্যয়ের মাদকাসক্তি চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং যদি উক্ত মাদকাসক্ত ব্যক্তি এইরূপ মাদকাসক্তির চিকিৎসা গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

(৫) কোনো ব্যক্তি অ্যালকোহল পান কিংবা যে-কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট অথবা বিরক্তিকর কোনো আচরণ করিলে কিংবা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালনা করিলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

(৬) কোনো সরকারি যানবাহনের চালক যানবাহন ব্যবহারকারী অফিসারের অনুপস্থিতিতে গাড়িতে মাদকদ্রব্য পরিবহণের সময় যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক হাতেনাতে আটক হন, তাহা হইলে তাহার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধ অনুযায়ী আইনানুগ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে এ সকল আইন সকলে জানা শর্তেও আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে বেরিয়ে এসে।পুনরায় যেন ক্ষতিপূরণ বাবদ তার ব্যবসার কার্যক্রম আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। সমাজের চোখে হয়ে উঠে শেষে মাদক সম্রাট। মাদকের কুফল সম্বন্ধে আমাদের সবাই জানা, সমাজের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ও সরকারের প্রতি মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর ভূমিকা পালনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছে এলাকার সচেতন মহল। কিছু সুবিধাভোগী অনৈতিক পাওয়ার প্রয়োগকারী নেতাদের ছত্রছায়া কাজগুলো করে থাকে সমাজের সকলকে ওই বিষয়ের স্বেচ্ছার হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি এলাকার সু সংঘটিত মাদকমুক্ত সমাজবৃন্দ ।

You may have missed