বানিজ্যের নামে গোপন চুক্তি চলবে না”মার্কিন বাণিজ্য আগ্রাসন ও দেশের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে সিপিবি’র আহ্বান

নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোঃ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ১৫ জুলাই ২০২৫, এক বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক আগ্রাসন এবং দেশের অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দেশবাসীকে ঐক্যমদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া একপেশে শর্তাবলির তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বানিজ্যের নামে কোন গোপন চুক্তি চলবে না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইউএসটিআরের গোপন চিঠি বাংলাদেশ সরকার প্রকাশ করেনি। ইতোমধ্যে একটি পত্রিকায় এ বিষয়টি আমাদের গোচরে এসেছে। এখানে যা দেখা যাচ্ছে তা হলো বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শর্তাবলি একপ্রকার অর্থনৈতিক উপনিবেশবাদ। আমরা এবিষয়ে সরকারকে চুক্তি প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই গোপন চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে চীনা পণ্য বর্জন, সামরিক সরবরাহে মার্কিন নির্ভরতা বাড়ানো, এবং ডিজিটাল নীতিতে হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীন নীতিনির্ধারণ ক্ষমতাকে ক্ষুন্ন করতে চাইছে। এটি বাংলাদেশের বহুমুখী বৈদেশিক নীতির পরিপন্থী এবং জাতীয় স্বার্থের বিরোধী ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫% অতিরিক্ত শুল্ক বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে ধ্বংস করতে পারে। বিশেষ করে পোশাক শিল্প, যা দেশের ৮৬৯ কোটি ডলারের রপ্তানি এবং ৪০ লক্ষ শ্রমিকের জীবিকার উৎস-তাকে হুমকির মুখে ফেলবে। এছাড়া মার্কিন কৃষিপণ্য (জিএমও গম, সয়াবিন) আমদানির শর্ত স্থানীয় কৃষকদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারকে যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইউএসটিআরের চুক্তির শর্তাবলি গোপন রাখা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতার পরিপন্থী। জনগণের সম্মতি ছাড়া এমন চুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এধরনের কোন চুক্তি করার অধিকার নেই।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ দেশের স্বার্থ বিরোধী যে কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

You may have missed