বেসরকারি স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এখনো জুন মাসের বেতন পাননি।

ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির নানা জটিলতার কারণে জুন মাসের বেতন উত্তোলন করতে পারছেন না মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

প্রদীপ কুমার রয়,
বিবিসি নিউজ ২৪।

আদিতমারী উপজেলা প্রতি নিধি।

আজ জুলাই মাসের ১৪ তারিখ চলে গেলেও এখন পর্যন্ত বেতন উত্তোলন করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন বেতন না পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এতে তাদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড়া
হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘এ্যানালগ’ পদ্ধতিতে বিতরণ হয়। এই অর্থ বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের পরে তোলতে হয়। এতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিগত সময়ে বছরের পবিত্র দুই ঈদ বোনাসের টাকা ঈদের পরে পাওয়ার ঘটনাও ঘঠেছে,এবার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মত মাসের শুরুতেই ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্ম।চারীরা।

এই জটিলতা নিরসনে ইএফটির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই প্রেক্ষিতে গত অক্টোবর মাসের বেতন পাইলটিং হিসেবে প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর টাকা ইএফটিতে ছাড়া হয়। পরবর্তীতে গত ১ জানুয়ারি মাসে প্রথম ধাপে এক লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ইএফটির মাধ্যমে পাঠানো হয়।

লালমনিরহাট জেলার, আদিতমারী উপজেলার, হাজীগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনিছুল হক বলেন, জুলাই মাস প্রায় শেষে হয়ে যেতে থাকলেও এখন পর্যন্ত গত জুন মাসের বেতন পাইনি। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছে। দোকানীর পাওনা পরিশোধের তাগাদা শুনতে হচ্ছে, ব্যাংক ঋণের কিস্তি দিতে পারছিনা। এমন সমস্যায় পড়েছেন বেতন না পাওয়া সকল শিক্ষক কর্মচারীরা। তারাঁ দাবী করেছেন কোন তথ্যগত অসংগতির কারনে ইএফটিতে বেতন না দিতে পারলে আগের পদ্ধতিতে বেতন পরিশোধ করা হোক। পরে তথ্য সংশোধন সাপেক্ষে ইএফটিতে দেয়া যেতে পারে।

প্রসংঙ্গত বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত সূত্র থেকে জানা গেছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করছে মাউশি। ২৭ হাজার শিক-কর্মচারীর তথ্য পায়নি সংস্থাটি। অবশিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য পেলেও তাতে ত্রুটি থাকায় সেগুলো সংশোধন করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। অতিবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান করার জন্য সরকার প্রধান এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হইলো।

You may have missed