দিনের বেলায় দোয়ারাবাজারে সন্ত্রাসীর হামলায় মোঃ কমরু মিয়া মারাত্মক আহত হয়েছেন।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
দোয়ারাবাজার উপজেলায় নরসিংপুর ইউনিয়নের তেরাপুর গ্রামের মোঃ কমরু মিয়া’কে তাহার বাড়ির পশ্চিমের নিজ জমিতে এসে সন্ত্রাসীরা দলবদ্ধ হয়ে দিনের বেলায় দেশি ও বিদেশী ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক আহত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়,
জানা যায় :-পূর্বের বিরোধ নিয়ে এই পরিকল্পিতভাবে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় হত্যার উদ্দেশ্যে মোঃ কমরু মিয়াকে তাহার নিজ বাড়ির পশ্চিমে জমিতে সন্ত্রাসীরা সাত আট জন মিলে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক যখন করে। তাৎক্ষণিক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন জড়িত হয়ে আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল পাঠানো হয়েছে।
একাধিক স্হানীয়রা জানান :- এরা সমাজের সমাজের উশৃংখল মানুষ’ তারা প্রতিনিয়ত গ্রামের বিভিন্ন মানুষের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়।আর গ্রামের মূল্যবান ব্যক্তি মুরুব্বীদের অসম্মান করে, সমাজে নানা প্রকার অসামাজিক কাজে জড়িত আছে বলে মানুষের কাছে কথিত৷
আহত কমরু মিয়ার ছেলে মোঃ ইসলাম উদ্দিন জানান:- তিনি বলেন :- এরা সমাজের সন্ত্রাসী অন্যায়কারী প্রকৃতির লোক আমার বাবার খরিদা জায়গা গায়ের জোরে ইচ্ছা তাহাই করিয়া বেড়ায়, তাহারা অন্যায় ভাবে আমার বাবার জায়গা বেদখল করার পায়তারা লিপ্ত করিয়া বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করিয়া আসিতেছে। মুক্ত জায়গা নিয়ে আবুল মিয়া তাহার ভাইদের সাথে বিরোধ হয়,উক্ত ঘটনাটি শেষ করার লক্ষে স্থানীয় মুরুব্বীয়ান বিষয়টি মীমাংসা স্বার্থে পঞ্চায়েতের ব্যবস্থা করেন। সকাল বেলায় আমার আব্বা সালিশগনকে বিচারে উপস্থিত করার করার জন্য করিয়া বাড়িতে আসার পথে আমাদের বাড়ির পাশে ঘটনাস্থলে পৌঁছা মাত্রই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বেআইনী দলবদ্ধভাবে মিলিত হইয়া খুন করার উদ্দেশ্যে হাতে রামদা সুলফি, লাঠিসোঁটা নিয়া চতুর্থদিকে ঘেরাও করিয়া আক্রমণ করে।
ইসলাম উদ্দিন তাহার হাতে থাকা রামদা দিয়া আমার আব্বাকে খুন করার উদ্দেশ্যে স্বজোরে ছেদ মারিয়া আমার আব্বা মাথার তালুতে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আমার আব্বা জখম অবস্থায় মাটিতে পড়িয়া গেলে বিবাদী ফয়জুল হক তাহার হাতে থাকা সুলফি দিয়া আমার আব্বাকে খুন করার উদ্দেশ্যে বুক লক্ষ্য করিয়া ঘাই মারিলে আমার আব্বা সামান্য সড়িয়া যাওয়ায় সুলফির ঘাইটি আমার বাবার ডান উরুতে পড়িয়া ছিদ্রযুক্ত রক্তাক্ত জখম হয়। তখন বুলু মিয়া তাহার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া উপর্যপুরি বাইরাইয়া আমার আব্বা পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। চিল্লা চিৎকার শুনিয়া আমার ভাই , সিরাজুল ইসলাম, আনোয়ার – আলী আগাইয়া আমার আব্বাকে বাঁচানোর চেষ্টা করিলে সোহেল মিয়া তাহার হাতে থাকা রামদা দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে ছেদ মারিয় সিরাজুল ইসলাম এর মাথার ডান দিকে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। নুর মিয়া তাহার হাতে থাকা লাঠি দিয়া এলোপাতারি বাইরাইয়া, সিরাজুল ইসলাম এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। আবুল মিয়া তাহার হাতে থাকা রামদা দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে ছেদ মারিয়া, আনোয়ার আলী এর মাথার ডান দিকে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। জখম অবস্থায় মাটিতে পড়িয়া গেলে,মাছুম মিয়া তাহার হাতে থাকা সুলফি দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে বুক লক্ষ্য করিয়া ঘাই মারিলে, সামান্য সড়িয়া যাওয়ায় সুলফির ঘাইটি আনোয়ার আলীর বাম উরুতে পড়িয়া ছিদ্রযুক্ত রক্তাক্ত জখম হয়। তখন বিবাদী বুলু মিয়া তাহার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া উপর্যপুরি বাইরাইয়া আনোয়ার আলীর পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। আমার ছোট বোন রেহেনা আগাইয়া আসিলে নুর আলী তাহার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া মারাত্মক জখম করে। যদি মামলা করি প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সমাজের প্রভাবশালী থাকায় নানান ধরনের সমস্যার মধ্যে করতে হয়।
ঘটনা নিশ্চিত করেছেন:- দোয়ারাবাজার উপজেলা ইনচার্জ অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, তিনি জানান তাদের জমি সংক্রান্ত নিয়ে অনেক দিন যাবত বিরোধ ছিল,এই সংক্রান্ত নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, একটি অভিযোগ পেয়েছি অতি দ্রুত আইনের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।