কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সাফায়েত উল্লাহ্’র বাড়িতে চুরি

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষ রিপোর্টারঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সাফায়েত উল্লাহ্’র বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
৮ জুলাই মঙ্গলবার রাতে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কুমুরউড়া গ্রামের কৃতি সন্তান, কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সাফায়েত উল্লাহ্’র নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়- সাফায়েত উল্লাহ্ ঢাকা গাজীপুর পুরাতন কাপড়ের একজন ভালো ব্যবসায়ী। ইউনিয়ন যুবদলের অন্যতম নেতা, উপজেলা যুবদলের একজন অইক্কন সদস্য।
গত ২ জুলাই সাফায়েত উল্লাহ্’র ছোট বোন নুরজাহান আক্তার ( আজিম )ভরাপাড়া স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাড়ি কুমুড়উড়াতে বেড়াতে আসে, সেখান থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঘটনার দিন তাদের পুরাতন তার মায়ের ঘরে হ্যান্ড ব্যাগ ভুল বসত রেখে ভাই সাফায়েত উল্লাহ’র নতুন হাফ বিল্ডিং ঘরে রাত্রি যাপন করে। এই ব্যাগে নুরজাহান এর পড়নের স্বর্নের দুটি আংটি,এক জোড়া কানের দুল,হাতের এক জোড়া বালা ও নগদ ৬০০/- টাকা ছিল। সেই পুরাতন ঘরে তার মা রাবিয়া বেগম একাই থাকেন। তার বাবা সৈয়দ গোলাম আম্বিয়া, তিনি একজন মসজিদের ইমাম, তিনি মসজিদেই থাকেন।
৭ জুলাই দিবাগত রাত ১০ ঘটিকা সময় সাফায়েত উল্লাহ্’র মা রাবিয়া বেগম পুরাতন ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে, সকাল অনুমান ৬.৩০ ঘুম থেকে না উঠার কারণে পুত্র বধু উঠান থেকে আম্মা আম্মা করে ডাক দেন, কোন শব্দ না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দেয়, সেই শব্দে রাবিয়া বেগম শাশুড়ী ঘুম ভেঙে জাগ্রত হোন। তিনি দরজা খুলে পিছনে দরজা দিয়ে প্রশ্রাব করতে গিয়ে দেখে পিছনের দরজা খোলা। ঘরের সবকিছু এলোমেলো, তখন বাড়ির সবাইকে ডাক দেন। নুর জাহান ও তার ভাই সৈয়দ আহসান উল্লাহ এসে ঘরে দেখে ঘরের ট্রাং দুটি এলোমেলো পড়ে আছে।নুরজাহান এর হ্যান্ড ব্যাগ ঘরে নাই। চৌকির বিছানার নিচে ত্রিশ হাজার টাকাও নেই। ব্যাগ খুজতে খুজতে বাড়ির পিছনে দরজা দিয়ে গিয়ে দেখে চেইন খোলা অবস্থায় ঘরের পিছনে পড়ে আছে ব্যাগ, কিছু ভোটার কাগজ ছাড়া কিছু নেই।
সাফায়েত উল্লাহ বলেন- আমার জীবনে অনেক সুখের সময় অতিবাহিত করেছি পাশাপাশি অনেক দুঃখ, অনেক কষ্টও সহ্য করেছি কিন্তু গত ৭ জুলাই চুরি হওয়ার রাতের এই ঘটনায় এতটা কষ্ট পেয়েছি যা সহ্য করতে পারতেছি না।
এই কলঙ্ক এতো কষ্ট, আমি সহ আমার পরিবার কি করে সহ্যকরবো জানি না। নিজের সন্তানের মতো করে বোনকে মানুষ করার চেষ্টা করেছি , বোনের সুখের জন্য যা যা করার প্রয়োজন সবকিছুই করার চেষ্টা করেছি কিন্তু অবশেষে এই ঘটনায় হতাশ হয়ে কলংকিত হয়ে বেঁচে আছি।
মা রাবিয়া বেগম বলেন – আমি বুঝতেই পারি নাই যে আমার ঘর থেকে চোরে চুরি করে চলে গেছে।
আমার বউয়ের সিজার করার জন্য ৩০০০০/ ত্রিশ হাজার টাকা করার জন্য রাখা নিয়ে গেছে আমার কষ্ট নেই,কিন্তু আমার মেয়ের স্বর্নের জিনিস গুলো নিয়ে গেছে এর দায়ভার কি করে সইবো। জামাইয়ের কাছে কি জবাব দিব।
তদন্ত কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন- আমি ঘরে গিয়ে চুরি হওয়ার সিমটম দেখে এসেছি, কারো বিষয় কোন কথাই বলেননি, তবে না বললেও আমি চেষ্টা করবো এই নুর জাহান এর অলংকার গুলো উদ্ধার করার। আমাকে পরিবারের লোকজন সহযোগিতা করলে আমি উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।