এনায়েতপুর কৃষক সমবায় সমিতিআকবর আলী বিস্বাসের নেতৃত্বে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাত


মালিকুজ্জামান কাকা
১৯৮২ সাল থেকে গভীর বলকুপের আয় ব্যায়ের হিসাব দেয় না। প্রথমে আই আর ডি বি সমিতির মাধ্যমে ৩৫ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে এনায়েত পুর কৃষক সমবায় সমিতি। কিন্ত রাতের আঁধারে আকবর আলী বিস্বাস ২০০০ সালে নিজ নামে হস্তান্তর করে নেন। দেখান বি এ ডি সি র মাধ্যমে হস্তান্তর করা যা গ্রামবাসী জানেনা। অভিযুক্ত আকবর আলী জামাত আলী বিস্বাসের ছেলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি জমি সাবেক সাবেক ২১৬ নং দাগে বর্তমান ২৩৭ নং দাগে জমিটির অবস্থান।
৫৪১ বাটা ২৩৭ এর ৪৬ শতকের মধ্যে ১৮ শতক ঈদগাহের নামে বরাদ্দ দেয়। খাস থাকে ২৮ শতক। এর উপর একটি কওমি মাদ্রাসা ও গভীর নলকূপ রয়েছে।
আকবার আলী সমিতির অর্গানাইজার বা মডেল ফার্মার হিসাবে সমিতি পরিচালনা করতেন।
অভিযুক্ত আকবর আলী নিজের কাছে থাকা কাগজ পত্র জাল ও আত্মসাত করে নিজের পছন্দ মত ৯জন কে সদস্য করে নতুন কাগজ পত্র তৈরি করেন। দেখা যায় নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ঐ নয়জনকে মালিক দেখিয়ে তার আয় হজম করছে।
সাধারণ গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, অবৈধ আয় নিশ্চিত করতে আকবর আলী ফ্যাসিস্টের দোসর আওয়ামীলীগ পন্থী ইনছার আলী, আলম, আবু বাক্কার সহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আয়কৃত সমুদয় টাকা সদলবলে আত্মসাত করেন। এর প্রতিবাদ কারীকে এই চক্র প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি এতদিন দিয়ে আসছে। গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায় আকবর আলী বিস্বাস চক্র অন্তত ৫০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এই টাকার মালিক সাধারণ গ্রামবাসী।
এ বছর ঐ গভীর নলকূপ টি চলতি বোরো সিজনে ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা চুক্তিতে গ্রামের আবু বককার তরফদারের ছেলে আরিফ তরফদার কে দায়িত্ব দিয়েছে আকবর আলী বিস্বাস।
এই গভীর নলকূপ ও তার আয়ের টাকা আত্মসাত নিয়ে এনায়েতপুরসহ পার্শবর্তী তিন গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। কেননা এই টাকার প্রকৃত মালিক সাধারণ কৃষক। কখনো ঐ টাকার হিসাব দেওয়া হয় না বলে সাধারণ কৃষক ও গ্রামবাসী এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।