বাঁশখালীতে সন্ত্রাসী স্টাইলে দরিদ্র মহিলার বাড়ি ভাঙচুর

মনতাহেরুল হক আমিন : বাঁশখালী প্রতিনিধি :

বাঁশখালীতে সন্ত্রাসী স্টাইলে দরিদ্র মহিলার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার সরল ইউনিয়নের বড়ুয়ারটেক এলাকায় এইঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১জুলাই) সন্ধ্যায় বাঁশখালী থানায় এসংক্রান্তে বৈঠকের আয়োজন করা হলেও হামলাকারীরা উপস্থিত হননি বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়।
জানা যায়,গত শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি পক্ষ জমির মালিকানা দাবী করে সন্ত্রাসী স্টাইলে মর্জিয়া বেগম (৩৫) নামের এক দরিদ্র মহিলার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।হামলার শিকার মর্জিয়া বেগম বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমির উপর টিনের বেড়ায় ছাউনি দিয়ে ঘর নির্মান করি। হঠাৎ জমির মালিকানা দাবী করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আমি ৯৯৯ এ ফোন করার পর এসআই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এদিকে এঘটনার পর এলাকায় ওউত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে থানায় বেঠকের আয়োজন করে। এই ঘটনায় মর্জিয়া বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়েরেরূ প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান মর্জিয়া বেগম।
মর্জিয়া বেগম ( স্বামী আলী উল্লাহ) বলেন, একবছর পূর্বে বিএস খতিয়ান নং-৪৯৪ এর বিএস দাগ-১৭১৪ হতে জনৈক আবদুর রহমান থেকে ৬ গন্ডা ও রহিমের স্ত্রীর কাছ থেকে দুই গন্ডাসহ মোট ৮ গন্ডা জমি ক্রয় করে সেখান থেকে ৪শতক জমি ভরাট করি এবং ওই জমিতে একটি টিনের ঘর তৈরি করি। শুক্রবার অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘরটি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

তবে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে জমির মালিকানা দাবি কারী জাহেদুল ইসলাম বলেন, এগুলো আমাদের মৌরসি সম্পত্তি। মর্জিয়া বেগম জবরদখল করে ঘর নির্মাণ করেছে,এর স্বপক্ষে আমাদের সব প্রমানাদী মওজুদ আছে।

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন,‘হামলা ও ভাঙচুরের সংবাদ পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এ্যাকশান নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নিলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।