ষড়যন্ত্র চলছে গোটা বাংলা জুড়ে, লালমনিরহাটে হিন্দু সেজে মন্দিরে প্রবেশ সন্দেহ হলে সে পাঁচ নারী আটক

আরমান হোসেন রাজু
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।
লালমনিরহাট জেলা শহরে হিন্দু সেজে মন্দিরে প্রবেশ অতপর সন্দেহ হলে। পাঁচ নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার বানিয়াদীঘি এলাকায় শ্রীশ্রী রাধা গিরিধারী মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আটক নারীরা হলেন—ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা লিপি আক্তার (২৫), রোসা খাতুন (২২), বুশ নাহার (৩৫), শিল্পী খাতুন (২০) ও রেজিনা খাতুন (২৮)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি একই গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রথযাত্রা উপলক্ষে মন্দিরে বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম ঘটে। এ সময় পাঁচ নারী হাতে শাঁখা ও কপালে সিঁদুর পরে ভক্তদের সঙ্গে মিশে পড়েন। তারা পূজার্চনায় অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি মন্দির এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। তবে তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় উপস্থিত ভক্তদের কয়েকজন বিষয়টি পুলিশকে জানান।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর না পাওয়ায় মন্দির কর্তৃপক্ষের অফিস কক্ষে এনে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তারা নিজেদের প্রকৃত পরিচয় স্বীকার করেন। তবে কী উদ্দেশ্যে তারা হিন্দু সেজে মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন, সে বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
শ্রীশ্রী রাধা গিরিধারী মন্দিরের অধ্যক্ষ মহাকৃষ্ণ প্রেম দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “শ্রীজগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষে এ মন্দিরে হাজারো ভক্তের সমাগম হয়। সেই ভিড়ে মিশে পড়েন পাঁচ ভিন্নধর্মী নারী। তারা হয়তো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন বলে ধারণা করেন, তবে পুলিশের তৎপরতায় তা রোধ করা সম্ভব হয়েছে।”
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার্স ইনাচর্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, “আটক নারীরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য জিনিস হাতিয়ে নেয়। এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না, সেটিও আমরা খতিয়ে দেখছি।
তিনি আরও জানান, পাঁচ নারীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তারা চোর বলে তারা শিকার করে।