চলনবিলের আকস্মিক বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত,কৃষকের স্বপ্ন নিমেষেই শেষ

এস,এম,রুহুল তাড়াশী,
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-

চলনবিলের আকস্মিক বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত,কৃষকের স্বপ্ন নিমেষেই শেষ।
উজানের ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও তিস্তা ব্যারেজ খুলে দেওয়ায় চলনবিলের আট উপজেলার নিম্নাঞ্চল আকস্মিক বন্যার কবলে। ফলে হাজারো বিঘা জমির পাকা ধান তলিয়ে যাচ্ছে।
চলনবিলের অপেক্ষাকৃত নিচু অঞ্চলে অবস্থিত তাড়াশ উপজেলার হামকুড়িয়া, শ্যামপুর, মাগুড়া, কুশাবাড়ি, মাকড়শোন, কুন্দইল, ভেটুয়া ও কাটাবাড়ী, গুরুদাসপুরের রুহাই, বিলসা, পিপলা, হরদমা, চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর, বহরমপুর, ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া, খলিশা গাড়ি, হান্ডিয়াল ইউনিয়নের নবীন, চর নবীন, বিলচলন ইউনিয়নের দোদারিয়া, উত্তর সেনগ্রাম, ভাঙ্গুরা উপজেলার রূপসি, পাটুল, চৌবাড়িয়া, অষ্টমণিষা, দিলপাশার ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকা। সিংড়া উপজেলার বেড়া বাড়ি, কাউয়াটিকড়ি, পানলি, তিশিখালী, ডাহিয়া অঞ্চলেরও বহু পাকা ধানের জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
চলনবিলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় নাবিজাতের বোরো ধান ডুবে যাওয়ায় এখানকার কৃষকের কোরবানি ইদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। ঈদ কে সামনে রেখে মৌসুমি শ্রমিকেরা বাড়ি চলে যাওয়ার পরপরই আকস্মিক বন্যায় চলনবিলের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল তলিয়ে যায়। ধান ডুবে যাওয়ায় দিশেহারা কৃষক ধান কাটার শ্রমিক না পেয়ে হারভেস্টার মেশিন এনে ধান কাটার চেষ্টা চালায়। কিন্তু পানি অব্যাহত বৃদ্ধি পাওয়ায় সে চেষ্টাও বি-ফলে যায়। নিরুপায় অনেক কেই ইদের আনন্দ ফেলেই নৌকা নিয়ে ডুবে যাওয়া ধান কাটতে দেখা গেছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এ অঞ্চলে প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। সরিষার জমিতে নাবিজাতের ব্রিধান-২৯ থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

You may have missed