নেত্রকোনার মদনে ১২ বছরের কিশোরী অন্তঃসত্বা , ‌ জানার পর অপহরণ । ‌ ‌

মোঃ রাসেল আহমেদ ‌মদন উপজেলা প্রতিনিধি। ‌ ‌নেত্রকোনার মদনে ১২ বছরের এক শিশু দুই মাসের অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই পরিবারের সিন্ধান্ত মোতাবেক বিয়ে করানো হবে এমন গ্রাম বৈঠক বসলে জোড়পূর্বক শিশুটিকে তুলে নিয়ে গেছে অভিযুক্ত ৯ম শ্রেণির কিশোর মাহিন মিয়াসহ কয়েকজন। উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের জাওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা চলছে।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার বিকালে গ্রামের বাড়িতে গেলে, মেয়ে শিশুটির দাদীকে পাওয়া যায়। কিশোর মাহিন মিয়ার বাড়িতে গেলে চাচা সাদেক মিয়া, বাবা আরজু মিয়াকে বাড়িতে পাওয়া যায়।

জানা গেছে, মেয়ে শিশুটির বাবা গত কয়েক বছর আগে বিদুৎপৃষ্টে মারা যায়। মা গার্মেন্টেসে চাকুরি করে। মেয়ে শিশুটিকে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ দাদির সাথে রেখে যায়। এ দিকে পাশের বাড়ির আরজু মিয়ার বকেটে ছেলে নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছাত্রের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। বৃদ্ধ দাদি থাকায় মাঝে মধ্যে মাহিন মেয়েটির সাথে রাতে দেখা করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ববর্তী হয়ে পড়ে। বিষয়টি মেয়ের খালা জানতে পেরে কার সাথে এমন হয়েছে শিশু মেয়েটির কাছে জানতে চাইলে মাহিনের কথা বলে। পরে এ নিয়ে মাহিনের বাবার সাথে কথা হলে তারা মেয়েটিকে বিয়ে করাবে বলে সিন্ধান্ত হয়। শুক্রবার রাতে এ নিয়ে প্রতিবেশী লোকজনের সাথে গ্রাম বৈঠকে বসে। এ সময় মেয়েটিকে ঘরে একা পেয়ে জোড়পূর্বক মাহিনসহ কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। বিভিন্ন জায়াগায় খোঁজাখুজির পর শিশু মেয়েটি ও বকাটে মাহিনকে দুই পরিবার খোঁজে পাচ্ছে না। বর্তমানে মেয়েটির পরিবার হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

শিশু মেয়েটির দাদি জানায়, আমার নাতি দুই থেকে আড়াই মাসের অন্ত:সত্ত্বা বিষয়টি মাহিনের পরিবারকে জানালে তারা আমার নাতিকে বিয়ে করাবে বলে সিন্ধান্ত দেয়। পরে গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে বসলে হঠাৎ মাহিনসহ কয়েকজন আমার ঘরে এসে আমার নাতিকে জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এখন বুঝতে পারলাম আমার নাতিকে মাহিন বিয়ে করবে না। তার পরিবারের পরার্মশ ক্রমে বাচ্ছাটা নষ্ট করে আবার আমার নাতিকে ফেরত দেবে। আমরা খুবই গরীব মানুষ। আমার মেয়েটিও গার্মেন্টেসে থাকে। থানায় কিভাবে অভিযোগ করি বুঝতেও পারছি না। এ দিকে কিশোর মাহিনের বাবা আরজু মিয়া জানান, আমরা দুই পরিবার সিন্ধান্ত নিয়ে ছিলাম বিয়ে করাব। কিন্তু দুই জনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। আমরা খোঁজাখুজি করছি।

ইউপি মেম্বার আব্দুল্লাহ আল মামুন রুবেল বিষয়টি সতত্যা স্বীকার করে বলেন, এ নিয়ে আমরা গ্রাম বৈঠকে বসে ছিলাম। পরে শুনেছি মেয়েটিকে মাহিন জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে গেছে। বৈঠকে ছেলের পরিবার খুবই খারাপ আচরণ করেছে।

মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।