কেন্দুয়ায় বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা, নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করায় গ্রামবাসীর মানববন্ধন

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষ রিপোর্টারঃ

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই গ্রামের দক্ষিন পাড়ায় মৃত ফজলে এলাহীর বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের ও এক ব্যক্তির গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গত ২১ মার্চ ২০২৫ ইং দিবাগত রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে সোহেল রানা বাদী হয়ে ২৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি পেনাল কোডের ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৪৩৬, ৩৪ ও ৫০৬ ধারায় নথিভুক্ত হয়। মামলায় উড়ো চিঠির হুমকির কথাও উল্ল্যেখ করা  হয়েছে।
পুলিশ মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে কামরুজ্জামান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে।
২৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের সামনে গ্রেপ্তারকৃত কামরুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে স্থানীয় গ্রামবাসী এবং সামাজিক সংগঠন ‘স্বদেশপ্রেম গ্রুপ’ এর উদ্যোগে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। গ্রেপ্তার কামরুজ্জামান স্বদেশ প্রেম গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা যায়। 
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- এম এ রউফ, ইয়াসিন আরাফাত, মো. সাইদুর রহমান, নুরে আলম তালুকদার, রাছেল আহমেদ হলুদ ও শাখাওয়াত হোসেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন- মৃত ফজলে এলাহীর পুত্র সৈনিক আরিফুজ্জামান পরিকল্পিতভাবে নিজ বাড়িতে আগুন দিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। তাঁরা বলেন, এই ধরনের মিথ্যা মামলা জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

স্বদেশপ্রেম গ্রুপের এডমিন নুরে আলম তালুকদার বলেন, সৈনিক আরিফুজ্জামান অতীতে সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সুযোগে গ্রামবাসীকে হুমকি প্রদান এবং বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যা সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। তাছাড়া আসামি কামরুজ্জামান বাদীর বোনকে বিয়ে না করায় এই নির্যাতনের স্বীকার  বলে জানা যায়।

এ প্রসঙ্গে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন – আইন তার নিজের গতিতেই চলবে। 

মানববন্ধনের পর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মো. সাইদুর রহমানের স্বাক্ষরে একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়, যেখানে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।