তাড়াশের নওগাঁ শাহ শরীফ জিন্দানী (রঃ) মাজার মসজিদে তিন দিনব্যাপী ওরশ শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবা

এস,এম,রুহুল তাড়াশী,
সিরাজ গঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-

সিরাজ গন্জ জেলা তাড়াশ উপজেলা ৫নং নওগাঁ ইউনিয়নে হযরত শাহ শরীফ জিন্দানী (রঃ) এর মাজার মসজিদের বাৎসরিক ওরশের সকল আয়োজন সম্পুর্ন হয়েছে। আসছে ২০ মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনব্যাপী জমকানো পরিবেশে ওরশ মোবারক শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে পুলিশ র‌্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ বছর ওরশে কোন প্রকার অশ্লিলতা করতে দেওয়া হবে না বলে আইন সৃংখলা বাহিনী জানিয়েছেন। চলনবিলে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের হাজার বছরের ইসলামী ঐতিহ্য নওগাঁ ওরশে দেশ বরেন্য ও খ্যাত নামা আলেমগণ তাফসির পেশ করবেন। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁয় অবস্থিত দাদা পীর হযরত হাজী খাজা শাহ্ শরীফ জিন্দানী(রহঃ)-এর পবিত্র মাজার শরীফ বিদ্যমান

হযরত শাহ্ শরীফ জিন্দানী (রা) বোখার আন্তগত জিন্দানী রাজ বংশে জন্ম গ্রহণ করেন। বাল‍্যকালে অত্যন্ত মেধাবী ও আধ‍্যাতিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি ইমাম বোখারী (রা) এর কর্তৃক বোখারা নগরীর দরবার হতে এলেম, হাদিস,তাফ্ছির,ফিকাহ্,শাস্তে অসাধারন ব‍্যুৎপুত্তি লাভ করেন। জাহেরী এলেম চর্চা লাভ করেন। আধ‍্যতিক জ্ঞান লাভের প্রবল আকাঙ্খায় কিছুদিন বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন, অবশেষে বিশ্ববিখ‍্যাত আউলিয়া কুল শিরমনি হযরত কুতুবউদ্দিন মওদুদ্ চিশতির (রা) এর হাতে বায়াত হন। বর্ণিত আছে হযরত হাজী শাহ শরীফ জিন্দানী (রা) একাধারে ১২ বছর গভীর জঙ্গলে কঠোর সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন। তখন তিনি খুব কম আহার করতেন। কখনো কখনো তিনি ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত জিকির অবস্থায় কাটাতেন। হযরত খাজা কুতুবউদ্দিন শাহ্ মওদুদ (রা) হযরত হাজী শাহ্ শরীফ জিন্দানী (রা) কে ইসমে আযম শিক্ষা দেন। এর ফলে তিনি এলমি লাদুন্নি ও এলমি তাছাউফ জ্ঞানের অধিকার হন। অথ পর তার মুরশিদ তাকে নিজের খেরকা পরিয়ে দেন। আর তখনি অদৃশ্য হতে ভেসে এল হে হাজী এই খেরকা তোমরী শোভা পেয়েছে, আর আমি আমার বন্ধু রুপে তোমাকে গ্রহণ করে নিলাম। খাজা ওছমান হারুন (রা) এর মুরশিদ এবং হযরত খাজা গরিবে নেওয়াজ হযরত খাজা মইনুয়উদ্দিন চিশতি (রা) এর দাদা হুজুর কেবলা হযরত খাজা শাহ শরীফ জিন্দানী (রা) ছিলেন তদীয় জামানার সকল শ্রেণির আউলিয়াদের সুলতান বা বাদশা। অতপর তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ‍্য ভারত বর্ষে তথা বাংলাদেশের চলন বিলের পাশ্বে করতোয়া নদীর বাঁকে নওগাঁতে আসেন। হযরত খাজা শাহ শরীফ জিন্দানী (রা) অলৌকি ক্ষমতার অধিকারী ছিলন।কথিত আছে তিনি বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে নওগাঁতে আস্তানা করেন। তাহার হাতে ছিল ছবি হিসাবে একটি জাত সাপ। তাহার এই অলৌকিক ক্ষমতা  দেখে মুগ্ধ হয়ে হিন্দুরা দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকে। হযরত হাজী খাজা শাহ শরীফ জিন্দানী (রা) তৎকালিন রাজা ভাংশিংকে মূর্তি পূজা করতে নিষেধ করায় তাহার সঙ্গে যুদ্ধ সংগঠিত হয়। যুদ্ধ রাজা ভাংশিং পরাজিত হয়ে স্ব-পরিবারে মনগুম্ভিয়া পুকুরের নৌকা ডুবিয়ে আত্মহত্যা করেন।

প্রতি বছর চৈত্র মাসের ১ম শুক্রবারে মাজারে পবিত্র ওরস পালিত হয়৷ লক্ষ লক্ষ আশেকান জাকেরান ভক্ত বৃন্দ দেশ-বিদেশ হতে হাজী শাহ্ শরীফ জিন্দানী (রহঃ) এর পবিত্র মাজার জিয়ারত করতে আসেন। হাজী শাহ্ শরীফ জিন্দানী(রহঃ) এর প্রকৃত নাম-আব্দুল আলী বাকী শাহ্ শরীফ জিন্দানী(রহঃ)৷