কেন্দুয়ায় মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে বিজিডি চাল বিতরণ করা হচ্ছে, চালের মান খুব খারাপ

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষ রিপোর্টারঃ

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে বিজিডি চাল বিতরণ করা হচ্ছে, কিন্তু চালের মান খুব খারাপ হওয়ায় সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অভিযোগ।

১৮ মার্চ মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৯নং নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙনে
মাহে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে উক্ত ইউনিয়নে ১৮শত গরীব দুস্ত মানুষের মাঝে বিজিডি চাল বিতরণ করা শুরু হয়েছে।
১ম দিন ১,২,৩,৪ নং ওয়ার্ডের বিজিডি নামক প্রতি জনে ১০কেজি চাল বিতরণ করেছেন। কিন্তু চালের মান খুব খারাপ হওয়ায় সাধারণ মানুষ অভিযোগ
তুলেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় – নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাওসার আজ ৪টি ওয়ার্ডের চাল বিতরণ করেছে। তার সাথে সহযোগিতা করছে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্র আন্দোলনের ৫ নেতা ও উপজেলা রেড ক্রিসেন্টের ৫ জন সদস্য।

২ নং ওয়ার্ড দুর্গাপুর গ্রামের সুলতান মিয়া,সাইদুল,ফেরদৌস মিয়া,এনামুল, বড়কান্দা গ্রামের আসাদুল হক,মাইজকান্দি গ্রামের জুলহাস মিয়া।
১নং ওয়ার্ডের দুখিয়ারগাতী গ্রামের খায়রুল ইসলাম, শেহরা গ্রামের আজিদ মিয়া,শ্রীধরপুর গ্রামের কেনু মিয়া অভিযোগ করে বলেন-
সারাবছর একটি রমজান মাস আসে এই রমজান মাসে সরকার ১০কেজি করে চাল দেয়।
যে চাল এই রমজানে চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাওসার বিতরণ করছে তা খুদ ও কিছু লাল জাতীয় আল্লোয়া চাল। তা হাঁস মুরগী খাওয়ার যোগ্য, আমরা কি করে খাব বুঝতে পারছি না।
তারা আরও বলেন-ভিক্ষোককে যদি এই চাল দেওয়া হয় তাহলে তারাও নিতে চাইবে না, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

উপজেলা খাদ্য সহকারী অফিসারকে ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ হয়নি।
১,২,৩নং ওয়ার্ড ইউপি (মহিলা) সদস্য মুঠোফোন বলেন প্রথম কিছু ভালো দিয়েছিল পরে যে চাল বিতরণ করা হয়েছে তা খুদের মতো এবং খুব খারাপ।
৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বাবুল চন্দ্র বলেন- খাদ্য গুদাম থেকে এই রকম দিয়ে চেয়ারম্যানকে বুঝিয়ে দিয়েছে। আমি চাল একবারও দেখি নাই,সারাদিন মাইক হাতে ছিল। দেখার মতো আমার সময় ছিল না।
উল্লেখ্যঃ- আগামীকাল ১৯ মার্চ ৫,৬,৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের চাল বিতরণ করার কথা রয়েছে।