দাবি মোদের একটাই অবিলম্বে গেজেট চাই, সচিব স্যারের প্রতিশ্রতি আলোর মুখ দেখবে কবে

মানব বন্ধনে ৪৩ তম বিসিএস ২য় গেজেট বঞ্চিত ক্যাডার অফিসারবৃন্দ:
মো. আমিরুল ইসলাম :
অবিলম্বে ৪৩ তম বিসিএস এর ২য় গেজেট বঞ্চিত নিরপরাধ ক্যাডার অফিসারবৃন্দকে গেজেটভূক্ত করে যোগদান নিশ্চিত করণের দাবিতে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ৪৩ তম বিসিএস ২য় গেজেট বঞ্চিত ক্যাডার অফিসারবৃন্দ তাদের নায্য দাবি আদায়ে লক্ষ্যে মানব বন্ধনে অফিসারবৃন্দ বলেন, ‘‘দাবি মোদের একটাই অবিলম্বে গেজেট চাই, সচিব স্যারের প্রতিশ্রম্নতি আলোর মুখ দেখবে কবে?’’
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ৩০ ডিসেম্বর। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েন ১৬৮ প্রার্থী। এর আগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েন মোট ২৬৭ জন। এর মধ্যে ৪০ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উপস্থিত হননি। তাই তারা পুনর্বিবেচনার জন্য বিবেচিত হবেন না। ফলে ২২৭ জনের তথ্য পুনর্বিবেচনা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ নেই, তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন আশা করি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে সচিবালয়ে দুইটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। ৪৩ তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়া ২২৭ জনের গোয়েন্দা তথ্য পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমন ঘোষণার পর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলে ও তাদের যোগদানের বিষয়ে এখনো ধোয়াশা কাটেনি। চরম হতাশা ও দু:খ কষ্ট বঞ্চনা ও দু:চিন্তার মধ্যে দিন পার করছে ৪৩ তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়া ক্যাডার অফিসারবৃন্দ।
মানব বন্ধনে অফিসারবৃন্দ বলেন, জুলাই আন্দোলন পরবর্তী বৈষম্যহীন বাংলাদেশে আমরা কেনো আবার বৈষ্যমের স্বীকার হচ্ছি? যেখানে পুরো দেশ এবং দেশের সিষ্টেম ঢেলে সাজানো হচ্ছে সেখানে এবং সেই মুহুর্তে আমরা কেনো আমাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো। আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাও সচিব মহাদয়সহ সকল উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অফিসারবৃন্দ আরও বলেন, ২৬/২৭/২৮ বছর ধরে ছাত্রজীবন শেষ করে কঠোর অধ্যাবসায় শেষে আমার সফলতার স্বপ্ন দেখছিলাম। ঠিক তখনই বিনা অপরাধে এভাবে যদি আমরা আমাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় । তাহলে আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে । এতবড় ধাক্কা খেলে বা এতবড় বৈষম্যের স্বীকার হলে আমরা আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো না। ঈদের আগেই আমরা আমাদের নায্য দাবি ও অধিকার ফিরে পেতে চাই। আমরা অনেক কষ্ট করে পরিশ্রম করে সাধনা করে দিনরাত খেয়ে না খেয়ে পড়াশুনা করে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে আজকে যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে আমরা ক্যাডার হয়েছি। ৪৩ তম বিসিএস পরিক্ষা দেওয়ার আগে আমরা কোন কোন ছোট খাটো জব হলেও করতাম । কিন্ত বিসিএস পরিক্ষায় টিকে যাওয়ার পরে আমরা যোগদানের আশায় সবাই আগের কর্ম ছেড়েছি, এদিকে বিসিএসে যোগদান করতে না পারায় এখন আমরা সম্পূর্ণ বেকার জীবন যাপন করছি। কারো ব্যক্তিগত কোন কারনে কোন রাগে বা ক্ষোভের কারনে আমাদের এই বিশাল অর্জন আমরা বৃথা যেতে দেবো না। আমাদের সাথে কোন প্রকার বৈষম্য করা হলে আমরা তা সহজে মেনে নেব না ঈদের আগে যদি আমরা আমাদের গেজেটভূক্ত করে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে চাই। আমাদের এই নায্য ও যৌক্তিক দাবি না মানা হলে ঈদের পরে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দিচ্ছি। আমরা বিসিএস ক্যাডার আমরা অফিসার আমাদের কে রাস্তায় নেমে বিশৃঙ্খলা করতে বাধ্য করবেন না। আমরা আশা করব আপনারা যে প্রতিশ্রুতি আমাদেরকে দিয়েছেন সেই প্রতিশ্রুতি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করে আমাদেরকে আমাদের যোগ্য স্থানে যোগদান করতে সহযোগিতা করবেন। আপনাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবেন। মানব বন্ধনে ২২৭ অফিসার ও তাদের অভিভাবক এবং পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্তিত ছিলেন ।