চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড ভাটিয়ারীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা

মো:ওমর ফারুক রকি
চট্টগ্রাম (প্রতিনিধি)

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের শহীদ মিনার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা ধরে অবরোধ করে রেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকার বাসিন্দারা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে অন্তত ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

প্রশাসন বলছে, মাহতাব বিবি রাস্তা নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের বিরোধের জের ধরে এ অবরোধ করা হয়। পরে বেলা পৌনে দুইটার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন তারা। 
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য এসে সড়কের মাঝখানে বাঁশ দিয়ে খুঁটি গেড়ে দেন। কিন্তু ,এ রোডটি বিগত ১০০ বছরের পুরনো। এবং, স্থানীয়রা জানান এ রোডটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল,কলেজ এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারও মানুষ এ রোড দিয়ে যাতায়াত করে।

তারা আরও জানান সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রোড হলো মাহতাব বিবি রোড। ভাটিয়ারী হাটাজারীর লিংক রোড উত্তর পাশে স্থানীয় সরকারের অধীনে এই রোডটি ১৮৮২ সালে নির্মিত হয়।

সেনাবাহিনী কয়েকজন সদস্য রোড়টি দখল করে বাঁশ দিয়ে খুঁটি গেড়ে দেন এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে শত শত নারী-পুরুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ অব্যাহত রাখেন। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে এসে সমস্যাটি সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।

সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাসিন্দারা সড়কটি তাদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখার জন্য আবেদন করেন। সোমবার (৪ নভেম্বর) স্থানীয় বাসিন্দা ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন। সেনাবাহিনী থেকে একটা বিকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা সেটি মেনে নেননি।