রংপুর বিভাগ কুড়িগ্রামের কালভার্ট গুলো আজ যেন মানুষের মরণ ফাঁদ,
মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী,
রংপুর বিভাগীয় চীপ।
উন্নয়নের নামে ভুয়া টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কুড়িগ্রামের প্রায় সকল এলাকার সকল সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সংস্কার ও নতুন সড়ক নির্মাণে ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান গুলোর তদারকি প্রতিষ্ঠানের যৌথ দূর্নীতির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের মতোবাদ জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিশেষ করে জেলা শহর থেকে উপজেলা শহরগুলোতে যাওয়ার প্রধান সড়ক, বাইপাস সড়ক এবং একইসাথে গলিপথ সড়ক ও ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণে বিগত সময়ের ১৫বছর ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়ম করায় বর্তামান এ-ই সড়ক, ব্রিজ, কালভার্টগুলো যাতায়তের অনুপযোগী হওয়ায় মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র ঘোষপাড়া থেকে সদর হাসপাতাল, জিয়া বাজার হয়ে সোজা ধরলাব্রিজ, অপরদিকে পৌরসভার সামন দিয়ে ধরলা ব্রিজ, কলেজ মোড় থেকে পুরাতন রেলস্টেশনের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বেশিরভাগ সড়কগুলো নির্মাণ ও সংস্কারের ছয় মাস না যেতেই ভেঙেচুরে শেষ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে যাত্রীসাধারণ বিভিন্ন যানবাহন, সহ সাধারণ জনগণ।
পৌরসভার সামন দিয়ে সুজার মোড় যাওয়ার পথে রিস্কা চালক আব্বাস আলি জানায়, এটা কোন কথা, এই রাস্তাটি ঠিক করার এখনও ছয় মাসও হয় নাই তাতেই শেষ, ওপর দিকে হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তায় ও যাওয়া যায় না, চোরগুল্যা এসব কি যে যে রাস্তা বানিয়েছে। ভুয়া ঠিকাদার, চোর ইন্জিনিয়ার ও গুলোকে কমড়ে দড়ি বেঁধে রাখা উচিৎ । এপাশে রাস্তা কেটে- কেউ কেউ বাড়ির গোসলখানা ও পায়খানার পাইপলাইন ড্রেনের মধ্যে সংযোগ দিয়েছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। এগুলো দেখার কেউ নাই।
এছাড়া কুড়িগ্রাম শহরের দাদামোড় থেকে বাইপাস সড়ক মোগলবাসা গোড়াই, মন্ডলের হাট, বুড়াবুড়ি, রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন হয়ে চিলমারী উপজেলা যাওয়ার ব্যস্তময় সড়কটি
যাতায়তের একদম অনুপযোগী হয়ে গেছে। ওই সড়কে মোগলবাসা ইউনিয়নের সাতকুড়ার পাড় বাজার সংলগ্ন ব্রিজের উত্তর পাশে ব্রিজ সংযোগ রাস্তাটি বৃষ্টির ঢল এবং স্রোতের আঘাতে বিলিনের পথে। এই মুহুর্তে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে যে কোন সময় মানুষ ও যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সাধারণ জনগণ।
এলাকার স্থানীয় জনগন জানান, ব্রিজ ও সড়কটি নির্মাণ- সংস্কারের সময় ব্যাপক দূর্নীতি করা হয়েছে। যার কারণে আজ এই অবস্থা।
নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী ও রাজারহাট উপজেলার সড়কগুলোরও ঠিক একই অবস্থা বলে নতুন সময় প্রতিনিধিরা জানিয়েছে।
ভুক্তভোগী সাধারণ যাত্রী ও বিভিন্ন যানবাহনের মালিক স্থানীয় সাধারণ মানুষজনের সাফ কথা দূর্নীতিবাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হোক, এবং গত ১৫বছরের করা সকল ঠিকাদার দের লাইসেন্স বাতিল ও তাদের সম্পদের সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। তারা যেন আর কোন সরকারি কাজ না পায়, নতুন সরকারের কাছে সেই দাবীর পাশাপাশি সরকারি উন্নয়ন কাজে তদারকি প্রতিষ্ঠানের ইন্জিনিয়ার, এসওদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে উন্নয়নের সুফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জোরদাবি জানান তারা।