খুলনায় শির্ক্ষাথীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনের পদত্যাগ


মো: আ‌মিরুল ইসলাম :
খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের র্নাসিং ফ্যাকাল্টির অনারারি ডীন প্রফেসর ডা: কুতুবউদ্দিন মল্লিক শির্ক্ষাথীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে পদত্যাগ করেছেন। রবিবার খুলনার কয়েকটি সরকারী-বেসরকারী র্নাসিং কলেজের শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে পরীক্ষা র্কাযক্রমে অনিয়ম ও ফিসের টাকা লোপাটসহ অসংখ্য অনিয়ম ও র্দূনীতির অভিযোগ ‍তুলে বিশ্ববিদ‌্যালয় ঘোরাও করে বিক্ষোভ ও পদত্যাগের দাবী জানায়। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর তিনটা র্পযন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নীচ তলায় অবস্থান নিয়ে তারা ঘেরাও ও বিক্ষোভ করে। পরে ডীনের পদত্যাগের কপি শির্ক্ষাথীদের সামনে প্রদর্শন করার পর পরিস্তিতি শান্ত হয়।
বিক্ষুব্ধ ইমন শাহসহ একাধিক শির্ক্ষাথী জানায়, খুলনার সরকারী র্নাসিং কলেজ, বেসরকারী এশিয়ান র্নাসিং কলেজ ও মমতা র্নাসিং কলেজের শির্ক্ষাথীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে গত ১০সেপ্টেম্বর বিভিন্ন দাবীতে স্মারকলিপি দেয়। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা: মাহবুবুর রহমান তাৎক্ষনিকভাবে কিছু বিষয়ের সমাধান দেন। কিন্তু র্নাসিং ফ্যাকাল্টির ডীন প্রফেসর ডা: কুতুবউদ্দিন মল্লিকের অনিয়ম ও দূর্নীতি বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় রবিবার শির্ক্ষাথীরা জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যারয়ের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও পদত্যাগ দাবী জানায়। প্রায় তিন ঘন্টা বিক্ষোভের পর ভিসির সাথে শির্ক্ষাথীদের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার পর দাবী পুরণের আশ্বাস দেন। ভিসি প্রফেসর ডা: মাহবুবুর রহমান তাৎক্ষনিকভাবে যোগাযোগ করলে শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে ডীন পদত্যাগ করেন। পরে শির্ক্ষাথীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভবন ছেড়ে চলে যায়।
খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা : মাহবুবুর রহমান জানান, গত ১০সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা কিছু অভিযোগ জমা দেয়। পরে সে বিষয়গুলি নিয়ে যেগুলো বিশ্ববিদ্যারয়ের পক্ষে সমাধান সম্ভব সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রবিবার(১৫সেপ্টেম্বর) আবারও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ণীচ তলায় অবস্থান নিয়ে র্নাসিং ফ্যাকাল্টির ডীনের পদত্যাগ দাবী করে। তিনি বিষয়টি নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলেও শির্ক্ষাথীরা তাদের দাবীতে অনড় থাকে। পরে ডীন নিজেই তার পদ থেকে অব্যাহতি নেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়েরই ক্ষতি হল। কারণ র্নাসিং ফ্যাকাল্টির ডীন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন সম্মানী নেন না। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু কোন প্রফেসর নেই সেকারণে তাকে অনারারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তিনি র্দীঘদিন ধরে র্নাসিং কলেজগুলোতে যে সমস্যা ছিল সেসব নিয়ে কাজ করছিলেন। সেটার ব্যাঘাত ঘটলো। তিনি দ্রুততার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও সিন্ডিকেটকে বিষয় অবহিত করে নতুন ডীন নিয়োগের জন্য আবেদন করবেন বলেও জানান। ##