নরসিংদীর মনোহরদীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘর-বাড়ী ও আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ

মনোহরদী প্রতিনিধি(নরসিংদী)প্রতিনিধি।

নরসিংদীর মনোহরদীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘর-বাড়ী ও আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,বিগত(৫ আগষ্ট)সোমবার সরকার পতনের দিনই উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম(চুন্নু)মেলেটারীর বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে মর্মে মনোহরদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোছাঃছাবিহা সুলতানা।

অভিযোগকারী সংবাদকর্মীদের জানান,মোঃফররুল আহমেদ মুকুলের নেতৃত্বে,স্বপন মিয়া,বাদল আহমেদ, মাহমুদুল হক কানন,হিরণ মিয়া,গোলাম মাওলা,গোলাম কিবরিয়া,মামুন মিয়া,মাসুম মিয়া,আরমান,মান্নান মিয়া,চাঁন মিয়া ও তোফাজ্জল হোসেনসহ দুষ্কৃতকারীদের একটি দল বিগত ৫ আগষ্ট(সোমবার)বাড়ীতে ঢুকে বাড়ী ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকা,গহনা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। ৮ লক্ষ টাকা ফসলী জমি কেটে ফেলে ও ৫ টি দোকান ভাংচুর করে।যার আনুমানিক খরচ ৪ লক্ষ টাকা।

৬ আগষ্ট মঙ্গলবার দুষ্কৃতিকারীরা আমার বাড়ীতে আবারো আক্রমণ করে একটি বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় ও একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়।যার আনুমানিক খরচ ১০ লক্ষ টাকা।অভিযোগকারী আরও জানান,আমার ৩ ছেলে তারা সবাই দেশের বাহিরে রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে আছে।
তার মধ্যে একজন পুলিশ অফিসার শান্তি রক্ষা মিশনে রয়েছে। এমতাবস্থায় বাড়ীতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পূর্ব শত্রুুতার জেরে বিবাদীরা অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জন দুষ্কৃতকারীরা মিলে আর্থিক ক্ষতি করার হীন উদ্দেশ্যে এ কাজটি সংগঠিত করেছে।এ ব্যাপারে আমি মনোহরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। যার মামলা নিয়ে আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

এ ব্যাপারে বিবাদী মুকুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি পৈতিকসূত্রে বাদীর কাছে সম্পত্তি পাওনা থাকলেও বাদী তা আমাকে দিচ্ছে না।
বরং নানাভাবে আমাকে হয়রানী করে আসছে। বর্তমানে বাদীর বাড়ী-ঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর এর ব্যাপারে আমার জানা নেই।তবে পরস্পর শুনেছি তাদের বাড়ীতে দুষ্কৃতিকারীরা হামলা করছে।

অভিযোগের বিষয়ে মনোহরদী থানার ওসি আবুুল কাশেম ভূঁইয়া,র কাছে যোগাযোগ করতে চাইলে,ওসি,র মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।