ভেড়ামারার জনসভায় শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার ও গায়েবী মামলা প্রত্যাহারের দাবি…..অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের
মোহন আলী, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে প্রায় দেড় যুগ পর ব্যাপক পরিসরে জনসভা করেছে ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন। সভায় পুলিশের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন,বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমাদেরকে পুলিশকে সহায়তা করতে হবে। পুলিশের প্রতি আহ্বান রাখছি আপনাদের দেয়া গায়েবী মামলাগুলো প্রত্যাহার করুন।জনগণের সেবায় কাজ করুন। শেখ হাসিনার বিচার চেয়ে তিনি বলেন, খুনি হাসিনার হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে। ভারত থেকে তাকে এনে বিচার করতে হবে।
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শিহাবুল ইসলামের সভাপতিত্বে গতকাল রবিবার ১৮ই আগস্ট বেলা ৩টায় উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ভেড়ামারা বাস স্ট্যান্ডে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল ৪টা নাগাদ উপজেলার অন্তর্গত পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন থেকে ব্যাপক পরিমাণ জনগণের অংশগ্রহণে সভায়স্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। কুষ্টিয়া ২ আসনের অন্তর্গত মিরপুর থেকেও
নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। জুনিয়াদহ ইউনিয়ন থেকে আসা তরুণ রাজনীতিবিদ রুবেল আহমেদ বলেন, আমার বাবা আব্দুল মান্নান জীবদ্দশায় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার কারণে আমরা
১৮ বছর ধরে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও চাকরি সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।ভালো লাগছে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি।
আশা করি এই বঞ্চনার অবসান হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে কুষ্টিয়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম আলম বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ই অক্টোবর এই স্থানে সমাবেশ করেছিলাম। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের জুলুম নিপীড়নের শিকার হয়ে এখানে আর সমাবেশ করতে পারি নাই। তিনি আফসোস করে বলেন, এই ১৬ বছরে আমাদের নেতাকর্মীকে জেলে দেয়া হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে, খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, আমার নেতা তারেক জিয়াকে মামলা দিয়ে দেশান্তরি করা হয়েছে, কিছুই করতে পারি নাই। এখন সময় এসেছে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার।
সভায় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আবু দাউদ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ডাবলু, মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলি রব্বান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জানবারসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ, উপজেলার যুবদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।