খুলনার ফুলতলা উপজেলা এসিল্যান্ড অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য


# প্রতি মিউটেশনে খায়রুলকে দিতে হয় ৫শ’ টাকা

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুষ বাণিজ্য নতুন কিছু নয় খুলনার ফুলতলা উপজেলা ভূমি অফিসে । দীর্ঘ দিন যাবৎ এই ঘুষ বাণিজ্যের  নেতৃত্ব দিয়ে আসছে এই অফিসের কার্য সহকারী মোহাম্মদ খায়রুল আলম। প্রতি মিউটেশন বা নামজারিতে খায়রুলকে ৫শ’ টাকা না দিলে দিনের পর দিন ঝুলে থাকে নামজারির কেস। এ ভূমি অফিসে এখন খায়রুলের রামরাজত্ব চলে। তার ঘুষ বাণিজ্যের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোন তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । 

এর আগে গত ২০ মার্চ ফুলতলা উপজেলা ভূমি অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কার্য সহকারী খায়রুল আলম অফিসে কাজে যাওয়া মফিজ নামে এক ব্যক্তির নিকট থেকে মিউটেশন কেস প্রতি ৫শ’ টাকা গ্রহণ করেন। টাকা নেওয়ার বিষয়ে খায়রুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে বলেন, আমি কোন টাকা নেয়নি। অথচ একটি ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়, খায়রুল ১৫শ টাকা নিয়ে নিজের পকেটে গুজে রাখেন। অনেকটা প্রকাশ্যে এই অফিসে এ ধরণেরর লেনদেন প্রায়শ দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, খায়রুল শুধু একা নয়, ঘুষ বাণিজ্যের পিছনে এই অফিসের আরও অনেকেই জড়িত।
খুলনা মহানগর আওয়ামলীগের ৩৬ নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি মফিজুর রহমান খাঁন বলেন, আমি ৩টি মিউটেশন এর কাগজ জমা দিতে গেলে খায়রুল আলম আমার কাছে প্রতিটি কেস বাবদ ৫শ’ টাকা করে নেন। টাকা না দিলে ঘুরতে হতো মাসের পর মাস।
ফুলতলা উপজেলার এক দলিল লেখক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, খায়রুল আলমের কারণে আমরা অতিষ্ঠ। কোন কাজ নিয়ে গেলে আগে তাকে টাকা দিতে হয়।
এ বিষয়ে খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র বলেন , এ বিষয় সু-নির্দিষ্ট তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।”