খুলনার আলোচিত ধর্ষণ মামলা : কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি

খুলনার আলোচিত ধর্ষণ মামলা : 

উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজসহ কোন  

আসামিকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ 

খুলনা ব্যুরো

প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভণ দেখিয়ে ধর্ষণ ও অপহরণের ঘটনায় খুলনার আলোচিত ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গত ৭ মার্চ আদালতে মামলা হয়। খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা মামলাটি এজাহার হিসেবে নিতে ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশও দেন। কিন্তু এর পর চারদিন অতিবাহিত হলেও একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

রোববার ইউনিয়ন পরিষদে দাপ্তরিক কাজ করেছেন মামলার অন্যতম আসামি রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান। অন্য আসামিরাও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন। তবে পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না।  তবে প্রধান আসামি ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ রোববার কার্যালয়ে যাননি।
ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, আদালতের নির্দেশে ৭ মার্চ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী তরুণী ও তাঁর মাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছিল। ৮ মার্চ খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালত তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে ওই তরুণীকে তাঁর পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়। তবে তাঁর জবানবন্দির কোনো রেকর্ড অর্ডারশিট থানায় আসেনি। তাই জবানবন্দিতে ওই তরুণী কী উল্লেখ করেছেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কী আদেশ দিয়েছেন, সেসব ব্যাপারে এখন কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। অর্ডারশিট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

এ মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন– তাঁর চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, তাঁর ভাই গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম সুমন, সাদ্দাম গাজী ও ইমরান হোসাইন।

এদিকে মামলার বাদী ওই তরুণীর ভাই গোলাম রসুল অভিযোগ করে বলেন, রোববারও রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ে সারাদিন ছিলেন। অন্য আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে। তবুও পুলিশ কাউকে ধরছে না। আসামিদের লোকজন আমাকে ফোনে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি, তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তবে সরেজমিন গিয়ে মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান গাজী এজাজকে রোববার তাঁর অফিসে দেখা যায়নি। এ ছাড়া প্রত্যেক আসামির ফোনও বন্ধ রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরী বলেন, বাদী নিরাপত্তাহীনতার ব্যাপারে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।