খুলনা কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রীকে বাথরুমে শীলতা হানি করায় এক শিক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত ,চার সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া আজ বুধবার সহকারী শিক্ষক চারু কলা শিক্ষক প্রদ্যুৎ কুমার ভট্রকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল কতৃপক্ষ। স্কুলের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: তৌহিদুজ্জামান ঘটনার নিশ্চিত করে জানান স্কুল গর্ভানিং বডি সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্দেশে এই সাময়িক বরখাস্ত হয় বলে জানান। ঘটনার দিন হতে সেই শিক্ষক স্কুলে আসছেন না, এবং মোবাইলে ছুটি নিয়েছেন।
খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কেসিসি উইমেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: তৈহিদুজ্জামান জানান, ৬ষ্ট শ্রেনীর শিক্ষার্থী মা নাসিমা বেগম অথ্যক্ষ বরাবরে রিখিত অভিযোগ দিয়ে গত বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী শিক্ষার্থী কলেজ বাথরুমে গেলে এই ঘটনা ঘটে। প্রথম দিকে এই ঘটনাটি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষক প্রদ্যুৎ ভট্টকে শোকজ করা হয়। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে শিক্ষক রাফিয়া আক্তারকে এবং সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ।
এদিকে নানামুখী চাপে অভিযোগ শিক্ষার্থী মা সামজিক ও লোকলজ্জা ভয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বড় ধরনের শাস্তি না নিতে আবেদন দিয়েছেন। এই ঘটনায় শিক্ষাথী এবং অভিভাকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে আজ সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক শিক্ষা প্রতিষ্টানের গর্ভানিং বডি সভাপতি হিসাবে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশনা দেন। এই সাময়িক বরখাস্ত আজই অধ্যক্ষ স্বাক্ষর করে শিক্ষককে পৌছে দিতে ব্যবস্থা নিয়েছেন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বাথরুমে গেলে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। অন্য ক্লাসের দুই ছাত্রী বিষয়টি দেখে এগিয়ে গেলে শিক্ষক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এবং সেই থেকে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্টানে অনুপস্থিত রয়েছেন।