খুলনার রূপসার ভূমি অফিস :ঘুষ দাবির অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা
সার্ভেয়ার আতিকের, আরও অভিযোগ দুদকে
কাজি সোহেল রানা
খুলনার রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ দাবির অভিযোগ ধামাচাপা দিতে দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছে। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অভিযুক্ত আতিক। এরই অংশ হিসেবে তিনি অপ্রাসঙ্গিকভাবে একটি ডেভলপার প্রতিষ্ঠানকে জড়ানোর অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মিউটেশন বাবদ ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেছেন অপর এক জমি মালিক। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় এবং বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আলাদাভাবে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
খুলনা মহানগরীর সদর হাসপাতাল এপ্রোচ রোড এলাকার বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিন খান (রকি) কর্তৃক ২৭ ফেব্রুয়ারি দাখিলকৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তার জমির মিউটেশন করার জন্য তিনি দু’ দফায় রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে আবেদন করেন। কিন্তু সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান ফাইলটি কয়েক মাস আটকে রাখেন। এমনকি তিনি সঠিক রিপোর্ট না দেওয়ায় সেটি খারিজ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে রকি নিজে সরাসরি দেখা করলে আতিক বলেন, ‘এতো সহজ ভাবে এগুলো রির্পোট হয় না’, কাজ করতে হলে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে, তাহলে ফাইল দৌঁড়াবে, অন্যথায় বছরের পর বছর আটকে থাকবে।’ এমনকি এ ধরণের অনেক ফাইল তিনি ফেলে রেখেছেন বলেও দম্ভোক্তি করেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ভূমি অফিসে কাজে গেলে সাধারণ জমি ব্যবসায়ীসহ আরও অসংখ্য মানুষকে বিভিন্ন ভাবে আইনি ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা নিয়ে সর্বস্বান্ত করছে আতিক। তদন্ত করলে যার সত্যতা মিলবে। এ বিষয়ে প্রতিকার দাবি করেন তিনি।
এর আগে মালিকানাধীন জমি সরকারি বলে ভয় দেখিয়ে ঘুষ দাবি, জমির মিউটেশনে হয়রানি, ফাইল প্রতি টাকা দাবি, এমনকি টাকা না দিলে ফাইল পড়ে থাকছে দীর্ঘকাল-এসব ঘটনা খুলনার রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে তুলে সবুজ বাংলায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরই দুর্নীতিবাজ আতিক নড়েচড়ে বসেছেন। তবে সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
খুলনা বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনার পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা সাপেক্ষে অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।