খুলনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতারা এক মঞ্চে, দিলেন রাজনৈতিক সম্প্রীতির প্রতিশ্রুতি
খুলনা ব্যুরো
দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে রাজনীতি থাকবে। আর রাজনৈতিক দলও থাকবে। থাকবে ভিন্নমত, পক্ষ-বিপক্ষ। কিন্তু থাকবে না হানাহানি-সংঘাত। সবাই মিলে দেশের পক্ষে কাজ করবে। এর মধ্য দিয়েই তৈরি হবে রাজনৈতিক সহ-অবস্থান। যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ ও মানুষের জন্য খুবই জরুরী।
খুলনায় রাজনৈতিক সম্প্রীতির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা এভাবেই তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। বলেন, দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা। ‘খুলনার রাজনৈতিক সহনশীলতা ও সম্প্রীতি রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ শিরোনামে সোমবার (১৬ অক্টোবর) নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে এ টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ‘স্ট্রেংথেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সভায় সুশীল সমাজ ও মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে রাজনৈতিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই রাজনীতি সম্প্রীতির খুলনা নিশ্চিত করতে হবে। যে দলই ক্ষমতায় আসুক সকলের সহনশীল আচরণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা ও জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান। সভপতিত্ব করেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ খান জবা।
উপস্থিত ছিলেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দা রেহানা ইসা, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী, খুলনা মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু।
সভায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, “গণতান্ত্রিকভাবে যেন সবাই কথা বলতে পারে সেই পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে আন্দোলন করতে হবে”।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি নেতা এস এম মুরশিদুর রহমান লিটন, এইচ এম মেহেদী দিপু, শেখ আব্দুর রশিদ, শেখ সাদী, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান জিয়া, সাংবাদিক মো. তরিকুল ইসলাম, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ডা. আবু সইদ, বিমানবিহারী, জয়দ্রতশীল, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর রিজিওনাল ম্যানেজার রুবাইয়াত হাসান, রিজিওনাল কো-অরডিনেটর মোঃ ইয়াসিন আরাফাত ও ইলেকটোরাল প্রোগ্রাম এসিসট্যানট সিলমী সাদিয়াসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।