খুলনায় ৮৭ টাকার স্যালাইন ২শ’টাকা, দু’ ফার্মেসীকে জরিমানা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

ডেঙ্গুজরসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের হার বাড়ার সুযোগে এক শ্রেণির অসাদু ব্যক্তিরা চিকিৎসার অন্যতম উপাদান স্যালাইনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন ওষুধের দোকানে, ফার্মেসীতে এখন মাত্র ৮৭ টাকার স্যলাইন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান’স স্যম্পলও চড়াদামে বিক্রি করছেন তারা। 

এদিকে, রোগী ও স্বজনদের সু-নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে মাঠে নেমেছে  জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে এ ধরণের দু’টি ফার্মেসীসহ অন্যান্য অভিযাগে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন,  জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে। 

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা জেলা কার্যালয়ের সূত্র জানান, নগরীর শান্তিধাম মোড়স্থ নিউ দীলিপ ফার্মেসীতে ৮৭ টাকা ১৪ পয়সা মূল্যের এনএস স্যালাইন ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে ওষুধের মোড়কে  দাম কেটে বর্ধিত দাম বসানো এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান’স স্যম্পল বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করা হয়। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠান মালিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

অপরদিকে, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান’স স্যম্পল বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থিত সামনে মেসার্স সাহিদা মেডিকেল হলের মালিককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এছাড়া নোংরা পরিবেশে মিষ্টি তৈরি করায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীকে এক হাজার টাকা জরিমানা, মূল্য তালিকা না থাকায় একই এলাকায় নিউ মন্দিরা স্টোরকে এক হাজার টাকা এবং মূল্য তালিকা না থাকা ও অননুমোদিত পণ্য বিক্রির অভিযোগে কাজী স্টোরকেও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

আলাদা দুটি অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামাণিক ও খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ওয়ালিদ বিন হাবিব। সহযোগিতা করেন কৃষি বিপনন কর্মকর্তা  শাহরিয়ার আকুঞ্জি, ক্যাব সদস্য জেড. এন. সুমন এবং আনসার সদস্যবৃন্দ।