খুলনায় অবৈধ অস্ত্র, গুলি, ম্যাগজিন ও স্বর্ণের বার উদ্ধার, অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার

খুলনায় অবৈধ অস্ত্র, গুলি, ম্যাগজিন ও স্বর্ণের বার উদ্ধার, অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার

খুলনা ব্যুরো

খুলনায় পৃথক অভিযান চালিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ম্যাগজিন ও চারটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের  (কেএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। 

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ এ দুটি অভিযান চালায়। এরমধ্যে নগরীর ডালমিল মোড় এলাকার বিকে রায় রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১টি বিদেশি রিভলবার, ১টি পিস্তল, ২টি ওয়ান শ্যুটার গান, ৪টি ম্যাগজিন ও  ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ শহিদুল ইসলাম সোহাগ (৩৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। সে দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করে আসছিল। গ্রেফতার  সোহাগ নগরীর ২৫/৩, বি কে রায় রোড বাইলেনের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম সাগরের ছেলে।

পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, খুলনা মহানগরীর শেখপাড়ার ডাল মিল এলাকায় এলপিজি গ্যাস ব্যবসায়ী নামে পরিচিত শহিদুল ইসলাম সোহাগ। সে ঐ গ্যাস ব্যবসার আড়ালে অস্ত্র ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোহাগের ডালমিল এলাকার বিকে রায় রোডের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে খাটের নিচ থেকে ১টি রিভলবার, ৭ রাউন্ড গুলি ও ২টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনের ফাইল কেবিনেট থেকে আরো ১টি অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তল, ৪টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২টি ওয়ান শ্যুটারগান ও এসএলআরের ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই অস্ত্র কেনাবেচার সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়টি পরিস্কার হবে জানান কেএমপি কমিশনার।

তিনি আরো জানান, একইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর সাচিবুনিয়া মোড় সংলগ্ন বিশ্বরোডে চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী একটি পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে শপিং ব্যাগে থাকা ৪৭৪ গ্রাম ওজনের ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪৩ লাখ টাকা। তবে এসময় অপরাধীরা সুকৌশলে পালিয়ে যায়। উভয় ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনের কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম, উপ-কমিশনার (সিটিএসবি) রাশেদা খাতুন, অতিরিক্ত উপ-কশিনার (দক্ষিণ) তৈমুর আলম, সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমতাজুল হক,  লবণচরা থানার ওসি এনামুল হকসহ কেএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।