খুলনায় ইমাম কর্তৃক মুসল্লীর ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ!

খুলনায় ইমাম কর্তৃক মুসল্লীর ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ!

খুলনায় ইমাম কর্তৃক মুসল্লীর ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ!

খুলনায় ইমাম কর্তৃক মুসল্লীর ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ!

# প্রতিকার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

খুলনা ব্যুরো

খুলনার রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা এলাকায় নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট এর নামে ইমাম কর্তৃক এক মুসল্লীর ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। শনিবার (১২ আগষ্ট) রূপসা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় রামনগর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মোঃ খাদেমুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চাকরী থেকে অবসর গ্রহণের পর পেনশনের যৎসামান্য টাকা ব্যাংকে সংরক্ষণ করেছিলাম। ওই টাকার লভ্যাংশ দিয়ে স্ত্রী, দুইকন্যা ও এক পুত্র সন্তান নিয়ে কোন রকমে দিনযাপন করছিলাম। এসময় হারাম-হালাল সুদ-ঘুষের কথা বলে আমার উপর টোপ ফেলেন স্থানীয় পূর্ব রূপসা রেল মসজিদের ইমাম বাগমারা গ্রামের মৃত মোকিম গাজীর পুত্র জাহিদুর রহমান।তিনি ধর্মীয় সরলতার সুযোগে ব্যাংকে রক্ষিত আমার ১৮ লাখ টাকা হালাল ব্যবসায় ইনভেষ্ট করার কথা বলে মান্নান তালুকদারের মালিকানাধীন নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট এর এজেন্ট হিসাবে তিনি (ইমাম) স্বাক্ষর করে টাকা গ্রহণ করেন এবং বলেন, আপনার সমুদয় টাকার জিম্মাদার আমি। টাকা মার হয়ে গেলে আপনি আমার কাছ থেকে বুঝে নিয়েন। এই কথা বলে তিনি প্রথমে আমার নামে দু’টি বইয়ে তের লাখ টাকা, পরের ধাপে আমার বড় মেয়ের নামে দু’টি বইয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা ও তারপরের ধাপে মেজ মেয়ের নামে একটি বইয়ে দেড় লাখ টাকা স্বাক্ষর করে গ্রহণ করেন। এরপর তিনি কয়েক কিস্তি ব্যবসার মুনাফা আমাকে দেন। তারপর থেকে মুনাফা কিম্বা আসল টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে আমার সাথে নানারকম তালবাহানায় লিপ্ত হন।

সংবাদ সন্মেলনে অভিযোগ করা হয়, টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য চাপ দিলে ইমাম জাহিদুর রহামান এপর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে আমার কাছ থেকে কয়েকদফা সময় নেন। অথচ আজ অবধি আমার টাকা ফেরত দেননি। আমি বর্তমানে অর্থাভাবে আমার অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারছি না। তাছাড়া সন্তান-সন্তুতি নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমার একমাত্র পুত্র কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। তার লেখাপড়ার খরচও যোগাতে পারছি না  এ অবস্থায় আমার বেঁচে থাকাটা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এমন অবস্থায় গত কয়েকদিন পূর্বে রূপসা থানায় আমি লিখিত অভিযোগ করতে গেলে তারা অভিযোগটি গ্রহণ করেনি মর্মে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।লিখিত বক্তব্যে তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীসহ র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার ছোট ভাই সাংবাদিক রবিউল ইসলাম তোতা ও মেয়ে খালেদা সুলতানা শাপলা।

টাকা গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করে ইমাম জাহিদুর রহমান

বলেন, তিনি নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে ফিল্ড অফিসারের চাকরি করতেন। সে কারণে তার মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে অভিযোগকারীরও ১৮ লাখ টাকা রয়েছে। কিন্তু কোম্পানির চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তিনি জেলখানা থেকে বের হওয়ার পর জমি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করা ছাড়া ঢাকা পরিশোধের বিষয়ে তার কোন দায়িত্ব নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

#