যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীরা বেরিয়ে এসে আগুন দিচ্ছে . উপকমিশনার জিয়াউল আহসান তালুকদার

এখন পর্যন্ত তারা সাত থেকে আটটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে।

শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে শান্ত ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। সেখানে পরিস্থিতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার।

জিয়াউল আহসান তালুকদার বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এই সংঘর্ষে পুলিশের ২০-২৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন।  

তবে কতজন বিএনপি নেতাকর্মী আটক সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।

ডিএমপির এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের যে ওয়াটার কেনন আছে তার মাধ্যমে আমরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি। একইসঙ্গে আগুন নেভানোর জন্য আমাদের ফায়ার সার্ভিস ও সহযোগিতা করছে। বিভিন্ন জায়গায় যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে তারা (বিএনপির) এক- দুজন গিয়ে বাসে আগুন দিচ্ছে এবং নাশকতা করছে।  

উপকমিশনার বলেন, যেহেতু এটা মহাসড়ক তাই মাঝেমধ্যে আমরা যান চলাচলের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কিন্তু বিএনপির লোকজন খণ্ড খণ্ড হয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অতর্কিতভাবে হামলা ও নাশকতার চেষ্টা করছে। আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।  

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বাহিনীর পক্ষ থেকে  গ্যাস গান মেরেছি, শর্ট গান, রাবার বুলেট, শিশার বা লেড বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে। মোটা দাগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যত ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট আছে সবকিছুই আমরা ব্যবহার করেছি। তবে সার্বিকভাবে এখনো আমাদের পরিস্থিতি ভালো নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এবং রাস্তাটা সচল রাখার চেষ্টা করছি।  

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মাতুয়াইল মেডিকেল কলেজের সামনে শিশু ও মাতৃসদন রাস্তার প্রবেশপথে বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়া নেতাকর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

সংঘর্ষের সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা আহত হন। এবং বিএনপির নিক্ষেপ করা ইট-পাটকেলে পুলিশ সদস্যরাও আহত হয় এসময়। প্রায় তিন ঘণ্টা যাবত এই সংঘর্ষ থেমে থেমে চলে।  

সাড়ে ১২টায় মাতুয়াইল মেডিকেল কলেজের থেকে কিছুটা দূরে ইউটার্নের সামনে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। পরে দুপুর দেড়টায় মাতুয়াইল মেডিকেল কলেজের সামনে ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন শান্ত সিএনজি ফিলিংস্টেশনের সামনে আরো একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।  

সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিএনপির নেতাকর্মীদের অবরোধের কারণে সাধারণ জনগণ ঢাকা প্রবেশ করতে পারছেন না। এতে তাদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। পাশাপাশি টিয়ারশেলের কারণেও অনেক শিশু এবং যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেক যাত্রীকে এসময় পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে।