দিনভর পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৪৯ জন আটক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

দিনভর পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানায় পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুলাই) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো.ফারুক হোসেন এসব তথ্য জানান।

ডিসি ফারুক বলেন, আজকের সংঘর্ষের ঘটনায় গাড়ি ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৪৯ জনকে আটক করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশ। এছাড়া এসব অভিযোগের ডিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। মামলা দায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মামলার সংখ্যা জানানো হবে।

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ডিএমপির অনেক সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩১ জন রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আরও কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এর আগে বিকেলে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, আজ ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এই কর্মসূচি ঘোষণার ক্ষেত্রে তারা ঢাকা মহানগর পুলিশের কোনো অনুমতি নেয়নি। এমনকি অনুমতি নেওয়ার জন্য আমাদের কাছে কোনো রকম আবেদনও করেননি। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপিকে গতকাল (শুক্রবার) রাতে এবং মিডিয়াকে জানানো হয়েছে তাদের অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি। যেহেতু ডিএমপির পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি, সেহেতু এটি একটি বেআইনি সমাবেশ।

ডিএমপির এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিএনপি ঢাকা শহরের  বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে গাড়িতে আগুন, গাড়ির গতিরোধ, ককটেল নিক্ষেপ ও পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে তার আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে ডিএমপির ট্র্যাফিক দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মেহেদীসহ অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের ওপর আক্রমণ ঠেকাতে ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ থেকে নিবারণের জন্য তাদের ওপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়৷ তারা পুলিশের ৮-১০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে, প্রায় ২০টির মতো গণপরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা। এর প্রেক্ষিতে তাদের ওপর বল প্রয়োগ করা হয়৷