তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে চাঙ্গা খুলনা বিএনপি, পাঁচ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট

তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে চাঙ্গা খুলনা বিএনপি, পাঁচ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা ‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ এ স্লোগানে আগামী ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে চাঙ্গা বিএনপি নেতাকর্মীরা। খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। সমাবেশকে ‘তরুণসমুদ্রে’ পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে গণসংযোগ ও প্রচারে নেমেছে দলটি। মহানগর ও জেলা ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা ও লিফলেট বিতরণ করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দিবেন। ১৭ জুলাই নগরীর ডাকবাংলো মোড়স্থ সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশ তরুণদের নিয়ে। এজন্য সমাবেশের আয়োজক যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। তরুণদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করতে আহূত সমাবেশকে ঘিরে খুলনায় ফের চাঙ্গা নেতাকর্মীরা। শুধু সহযোগী ৩টি সংগঠনের নেতাকর্মীরাই নয়, বিএনপি’র খুলনা বিভাগের সিনিয়র নেতারাও এ সমাবেশকে সফল করতে মাঠে নেমেছেন। চলছে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতাও। আয়োজক ৩টি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বিভাগের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা। খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেল জানিয়েছে, সরকার বিরোধী আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে আগামী ১৭ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপি। এই সমাবেশে খুলনায় পাঁচ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ করতে জেলা ও মহানগর বিএনপি যুব, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি সহযোগী, অঙ্গসংগঠনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। থানা-উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ সফলে কর্মিসভা, সমাবেশ ও জনসংযোগ করা হচ্ছে। নির্বাচনকালীন প্রচারণার আদলে বাড়ি বাড়ি ১০ লাখ লিফলেট বিতরণের করছে দলটি। মিডিয়া সেল আরো জানায়, সমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে যে জটিলতা ছিলো সে জটিলতা কেটে গেছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন সমাবেশ স্থল হিসেবে নগরীর ডাকবাংলো মোড়স্থ সোনালী ব্যাংক চত্ত্বর ব্যবহারের লিখিত অনুমতি দিয়েছে। তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি সর্ম্পকে নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আমরা সমাবেশ সফলে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। শুধু দলের সমর্থক বা নেতাকর্মী নয়, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আশা করছি। এ জন্য ঘরে ঘরে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দলীয় সূত্র জানান, প্রায় ৪ কোটি নতুন ভোটার গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেননি, তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। বেকারত্ব বেড়েছে। সরকারের দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়নে রিকশাচালক থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, শ্রমিক, পেশাজীবী সকলেই। সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে জিনিসপত্রের সীমাহীন দাম বেড়েছে। এসবের প্রতিবাদে জেগে উঠেছে তরুণ প্রজন্ম। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, তারুণ্যের সমাবেশের মুল লক্ষ্য হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে তরুণদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে যুক্ত করা ও আগামীতে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে উজ্জীবিত করা হচ্ছে। এই সমাবেশ তরুণদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। গত ১৫ বছর নতুন ভোটারেরা ভোট দিতে পারেনি। সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে জনগণের অধিকার হরণ করেছে। মানুষের উপর নির্যাতন নিপিড়ন চালিয়ে দেশের জনগণের অধিকার ভূলুন্ঠিত করেছে। তারুণ্যের সমাবেশ সম্পর্কে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চলছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। যাতে সকলেই ভোট দিতে পারে। মেধা দিয়ে নয় এখন দলের পরিচয়ে চাকরী হয়। এ কারণে প্রশাসন মেধা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। আমরা মেধাবী প্রশাসনের দাবিতে ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সমাবেশকে সফল করতে দিনকাজ কাজ করছেন বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকলেই। তুহিন বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারকে বিদায় করতে একদফা ডাক দেয়া হয়েছে। ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ একদফার আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে। খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ জনসমুদ্রে রুপ নেবে। সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি: খুলনা বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ সফল করতে প্রস্তুতি সভা করছে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি। বুধবার রাতে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে থানা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। থানা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জালাল শরীফ, মজিবর রহমান, একরামুল কবির মিল্টন, জামাল উদ্দিন, শাহাজালাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, মুসা খান, নজরুল ইসলাম, বাবু মোড়ল, মোস্তফা কামাল, হাবীবুর রহমান, আব্দুল জলিল, কাজী মিজান, ওহিদ হাওলাদার, জাহিদ খোকন, আরিফুর রহমান বিপ্লব, আবুল ওয়ারা, তরিকুল ইসলাম বাকার, মনিরুজ্জামান মনি প্রমূখ। অপরদিকে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৫টায় সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের সঙ্গে যৌথ কর্মী সভায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, রক্ত দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই কেবল নির্বাচন হবে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর চায় না। সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসীবাদী আওয়ামী দু:শাসনের অবসন ঘটিয়ে জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবীতে এক দফার আন্দোলন ও দেশ বাঁচাতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছে। তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে আহবান জানান তিনি। পরে সোনাডাঙ্গা থানা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, আকরাম হোসেন খোকন, ইকবাল হোসেন, মাহবুব হোসেন, আলমগীর হোসেন আলম, শাকিল আহমেদ, মেজবা জামান মিন্টু, নাহিদ আল মামুন, আবু তালেব, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, শামীম খান, সমির সাহা, সুলতান মাহমুদ সুমন, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, এড. ওমর ফারুক বনি, মোল্যা আলী আহমেদ, শামীম আশরাফ, সৈয়দ হুমায়ুন কবির, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, মাসুদ রুমী, টিপু হাওলাদার, মারুফ হোসেন, ওহাব শরীফ, এ আর রহমান, সোহেল সরদার, নাইম ইসলাম, আসাদুজ্জামান সানা, তানভিরুল ইমরান, রাজিব খান রাজু, রবিউল ইসলাম, মো. মুন্না প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ এ স্লোগানে আগামী ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে চাঙ্গা বিএনপি নেতাকর্মীরা।

খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। সমাবেশকে ‘তরুণসমুদ্রে’ পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে গণসংযোগ ও প্রচারে নেমেছে দলটি। মহানগর ও জেলা ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা ও লিফলেট বিতরণ করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করছে। 

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দিবেন। 

১৭ জুলাই নগরীর ডাকবাংলো মোড়স্থ সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশ তরুণদের নিয়ে। এজন্য সমাবেশের আয়োজক যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। তরুণদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করতে আহূত সমাবেশকে ঘিরে খুলনায় ফের চাঙ্গা নেতাকর্মীরা। শুধু সহযোগী ৩টি সংগঠনের নেতাকর্মীরাই নয়, বিএনপি’র খুলনা বিভাগের সিনিয়র নেতারাও এ সমাবেশকে সফল করতে মাঠে নেমেছেন। চলছে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতাও। আয়োজক ৩টি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বিভাগের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা।

খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেল জানিয়েছে, সরকার বিরোধী আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে আগামী ১৭ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপি। এই সমাবেশে খুলনায় পাঁচ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ করতে জেলা ও মহানগর বিএনপি যুব, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি সহযোগী, অঙ্গসংগঠনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। থানা-উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ সফলে কর্মিসভা, সমাবেশ ও জনসংযোগ করা হচ্ছে। নির্বাচনকালীন প্রচারণার আদলে বাড়ি বাড়ি ১০ লাখ লিফলেট বিতরণের করছে দলটি। 

মিডিয়া সেল আরো জানায়, সমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে যে জটিলতা ছিলো সে জটিলতা কেটে গেছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন সমাবেশ স্থল হিসেবে নগরীর ডাকবাংলো মোড়স্থ সোনালী ব্যাংক চত্ত্বর ব্যবহারের লিখিত অনুমতি দিয়েছে। 

তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি সর্ম্পকে নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আমরা সমাবেশ সফলে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। শুধু দলের সমর্থক বা নেতাকর্মী নয়, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আশা করছি। এ জন্য ঘরে ঘরে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। 

দলীয় সূত্র জানান, প্রায় ৪ কোটি নতুন ভোটার গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেননি, তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। বেকারত্ব বেড়েছে। সরকারের দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়নে রিকশাচালক থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, শ্রমিক, পেশাজীবী সকলেই। সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে জিনিসপত্রের সীমাহীন দাম বেড়েছে। এসবের প্রতিবাদে জেগে উঠেছে তরুণ প্রজন্ম।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, তারুণ্যের সমাবেশের মুল লক্ষ্য হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে তরুণদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে যুক্ত করা ও আগামীতে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে উজ্জীবিত করা হচ্ছে। এই সমাবেশ তরুণদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। গত ১৫ বছর নতুন ভোটারেরা ভোট দিতে পারেনি। সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে জনগণের অধিকার হরণ করেছে। মানুষের উপর নির্যাতন নিপিড়ন চালিয়ে দেশের জনগণের অধিকার ভূলুন্ঠিত করেছে। 

তারুণ্যের সমাবেশ সম্পর্কে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চলছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। যাতে সকলেই ভোট দিতে পারে। মেধা দিয়ে নয় এখন দলের পরিচয়ে চাকরী হয়। এ কারণে প্রশাসন মেধা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। আমরা মেধাবী প্রশাসনের দাবিতে ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। 

তিনি বলেন, প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সমাবেশকে সফল করতে দিনকাজ কাজ করছেন বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকলেই। 

তুহিন বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারকে বিদায় করতে একদফা ডাক দেয়া হয়েছে। ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ একদফার আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে। খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ জনসমুদ্রে রুপ নেবে। 

সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি: খুলনা বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ সফল করতে প্রস্তুতি সভা করছে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি। বুধবার রাতে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে থানা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। থানা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জালাল শরীফ, মজিবর রহমান, একরামুল কবির মিল্টন, জামাল উদ্দিন, শাহাজালাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, মুসা খান, নজরুল ইসলাম, বাবু মোড়ল, মোস্তফা কামাল, হাবীবুর রহমান, আব্দুল জলিল, কাজী মিজান, ওহিদ হাওলাদার, জাহিদ খোকন, আরিফুর রহমান বিপ্লব, আবুল ওয়ারা, তরিকুল ইসলাম বাকার, মনিরুজ্জামান মনি প্রমূখ।

অপরদিকে, 

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৫টায় সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের সঙ্গে যৌথ কর্মী সভায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, রক্ত দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই কেবল নির্বাচন হবে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর চায় না। সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। 

তিনি আরো বলেন,  ফ্যাসীবাদী আওয়ামী দু:শাসনের অবসন ঘটিয়ে জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবীতে এক দফার আন্দোলন ও দেশ বাঁচাতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছে। তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে আহবান জানান তিনি। পরে সোনাডাঙ্গা থানা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু।     

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, আকরাম হোসেন খোকন, ইকবাল হোসেন, মাহবুব হোসেন, আলমগীর হোসেন আলম, শাকিল আহমেদ, মেজবা জামান মিন্টু, নাহিদ আল মামুন, আবু তালেব,  সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, শামীম খান, সমির সাহা, সুলতান মাহমুদ সুমন, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, এড. ওমর ফারুক বনি, মোল্যা আলী আহমেদ, শামীম আশরাফ, সৈয়দ হুমায়ুন কবির, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, মাসুদ রুমী, টিপু হাওলাদার, মারুফ হোসেন, ওহাব শরীফ, এ আর রহমান, সোহেল সরদার, নাইম ইসলাম, আসাদুজ্জামান সানা, তানভিরুল ইমরান, রাজিব খান রাজু, রবিউল ইসলাম, মো. মুন্না  প্রমুখ।

তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে চাঙ্গা খুলনা বিএনপি, পাঁচ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ এ স্লোগানে আগামী ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে চাঙ্গা বিএনপি নেতাকর্মীরা।

খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। সমাবেশকে ‘তরুণসমুদ্রে’ পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে গণসংযোগ ও প্রচারে নেমেছে দলটি। মহানগর ও জেলা ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা ও লিফলেট বিতরণ করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করছে। 

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দিবেন। 

১৭ জুলাই নগরীর ডাকবাংলো মোড়স্থ সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশ তরুণদের নিয়ে। এজন্য সমাবেশের আয়োজক যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। তরুণদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করতে আহূত সমাবেশকে ঘিরে খুলনায় ফের চাঙ্গা নেতাকর্মীরা। শুধু সহযোগী ৩টি সংগঠনের নেতাকর্মীরাই নয়, বিএনপি’র খুলনা বিভাগের সিনিয়র নেতারাও এ সমাবেশকে সফল করতে মাঠে নেমেছেন। চলছে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতাও। আয়োজক ৩টি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বিভাগের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা।

খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেল জানিয়েছে, সরকার বিরোধী আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে আগামী ১৭ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপি। এই সমাবেশে খুলনায় পাঁচ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ করতে জেলা ও মহানগর বিএনপি যুব, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি সহযোগী, অঙ্গসংগঠনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। থানা-উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ সফলে কর্মিসভা, সমাবেশ ও জনসংযোগ করা হচ্ছে। নির্বাচনকালীন প্রচারণার আদলে বাড়ি বাড়ি ১০ লাখ লিফলেট বিতরণের করছে দলটি। 

মিডিয়া সেল আরো জানায়, সমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে যে জটিলতা ছিলো সে জটিলতা কেটে গেছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন সমাবেশ স্থল হিসেবে নগরীর ডাকবাংলো মোড়স্থ সোনালী ব্যাংক চত্ত্বর ব্যবহারের লিখিত অনুমতি দিয়েছে। 

তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি সর্ম্পকে নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আমরা সমাবেশ সফলে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। শুধু দলের সমর্থক বা নেতাকর্মী নয়, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আশা করছি। এ জন্য ঘরে ঘরে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। 

দলীয় সূত্র জানান, প্রায় ৪ কোটি নতুন ভোটার গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেননি, তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। বেকারত্ব বেড়েছে। সরকারের দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়নে রিকশাচালক থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, শ্রমিক, পেশাজীবী সকলেই। সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে জিনিসপত্রের সীমাহীন দাম বেড়েছে। এসবের প্রতিবাদে জেগে উঠেছে তরুণ প্রজন্ম।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, তারুণ্যের সমাবেশের মুল লক্ষ্য হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে তরুণদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে যুক্ত করা ও আগামীতে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে উজ্জীবিত করা হচ্ছে। এই সমাবেশ তরুণদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। গত ১৫ বছর নতুন ভোটারেরা ভোট দিতে পারেনি। সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে জনগণের অধিকার হরণ করেছে। মানুষের উপর নির্যাতন নিপিড়ন চালিয়ে দেশের জনগণের অধিকার ভূলুন্ঠিত করেছে। 

তারুণ্যের সমাবেশ সম্পর্কে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চলছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। যাতে সকলেই ভোট দিতে পারে। মেধা দিয়ে নয় এখন দলের পরিচয়ে চাকরী হয়। এ কারণে প্রশাসন মেধা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। আমরা মেধাবী প্রশাসনের দাবিতে ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। 

তিনি বলেন, প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সমাবেশকে সফল করতে দিনকাজ কাজ করছেন বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকলেই। 

তুহিন বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারকে বিদায় করতে একদফা ডাক দেয়া হয়েছে। ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ একদফার আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে। খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ জনসমুদ্রে রুপ নেবে। 

সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি: খুলনা বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ সফল করতে প্রস্তুতি সভা করছে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি। বুধবার রাতে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে থানা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। থানা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জালাল শরীফ, মজিবর রহমান, একরামুল কবির মিল্টন, জামাল উদ্দিন, শাহাজালাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, মুসা খান, নজরুল ইসলাম, বাবু মোড়ল, মোস্তফা কামাল, হাবীবুর রহমান, আব্দুল জলিল, কাজী মিজান, ওহিদ হাওলাদার, জাহিদ খোকন, আরিফুর রহমান বিপ্লব, আবুল ওয়ারা, তরিকুল ইসলাম বাকার, মনিরুজ্জামান মনি প্রমূখ।

অপরদিকে, 

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৫টায় সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের সঙ্গে যৌথ কর্মী সভায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, রক্ত দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই কেবল নির্বাচন হবে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর চায় না। সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। 

তিনি আরো বলেন,  ফ্যাসীবাদী আওয়ামী দু:শাসনের অবসন ঘটিয়ে জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবীতে এক দফার আন্দোলন ও দেশ বাঁচাতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছে। তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে আহবান জানান তিনি। পরে সোনাডাঙ্গা থানা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু।     

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, আকরাম হোসেন খোকন, ইকবাল হোসেন, মাহবুব হোসেন, আলমগীর হোসেন আলম, শাকিল আহমেদ, মেজবা জামান মিন্টু, নাহিদ আল মামুন, আবু তালেব,  সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, শামীম খান, সমির সাহা, সুলতান মাহমুদ সুমন, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, এড. ওমর ফারুক বনি, মোল্যা আলী আহমেদ, শামীম আশরাফ, সৈয়দ হুমায়ুন কবির, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, মাসুদ রুমী, টিপু হাওলাদার, মারুফ হোসেন, ওহাব শরীফ, এ আর রহমান, সোহেল সরদার, নাইম ইসলাম, আসাদুজ্জামান সানা, তানভিরুল ইমরান, রাজিব খান রাজু, রবিউল ইসলাম, মো. মুন্না  প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ এ স্লোগানে আগামী ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে চাঙ্গা বিএনপি নেতাকর্মীরা।

খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। সমাবেশকে ‘তরুণসমুদ্রে’ পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে গণসংযোগ ও প্রচারে নেমেছে দলটি। মহানগর ও জেলা ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা ও লিফলেট বিতরণ করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করছে। 

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দিবেন। 

১৭ জুলাই নগরীর ডাকবাংলো মোড়স্থ সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশ তরুণদের নিয়ে। এজন্য সমাবেশের আয়োজক যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। তরুণদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করতে আহূত সমাবেশকে ঘিরে খুলনায় ফের চাঙ্গা নেতাকর্মীরা। শুধু সহযোগী ৩টি সংগঠনের নেতাকর্মীরাই নয়, বিএনপি’র খুলনা বিভাগের সিনিয়র নেতারাও এ সমাবেশকে সফল করতে মাঠে নেমেছেন। চলছে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতাও। আয়োজক ৩টি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বিভাগের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা।

খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেল জানিয়েছে, সরকার বিরোধী আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে আগামী ১৭ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপি। এই সমাবেশে খুলনায় পাঁচ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ করতে জেলা ও মহানগর বিএনপি যুব, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি সহযোগী, অঙ্গসংগঠনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। থানা-উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ সফলে কর্মিসভা, সমাবেশ ও জনসংযোগ করা হচ্ছে। নির্বাচনকালীন প্রচারণার আদলে বাড়ি বাড়ি ১০ লাখ লিফলেট বিতরণের করছে দলটি। 

মিডিয়া সেল আরো জানায়, সমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে যে জটিলতা ছিলো সে জটিলতা কেটে গেছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন সমাবেশ স্থল হিসেবে নগরীর ডাকবাংলো মোড়স্থ সোনালী ব্যাংক চত্ত্বর ব্যবহারের লিখিত অনুমতি দিয়েছে। 

তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি সর্ম্পকে নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আমরা সমাবেশ সফলে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। শুধু দলের সমর্থক বা নেতাকর্মী নয়, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আশা করছি। এ জন্য ঘরে ঘরে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। 

দলীয় সূত্র জানান, প্রায় ৪ কোটি নতুন ভোটার গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেননি, তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। বেকারত্ব বেড়েছে। সরকারের দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়নে রিকশাচালক থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, শ্রমিক, পেশাজীবী সকলেই। সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে জিনিসপত্রের সীমাহীন দাম বেড়েছে। এসবের প্রতিবাদে জেগে উঠেছে তরুণ প্রজন্ম।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, তারুণ্যের সমাবেশের মুল লক্ষ্য হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে তরুণদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে যুক্ত করা ও আগামীতে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে উজ্জীবিত করা হচ্ছে। এই সমাবেশ তরুণদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। গত ১৫ বছর নতুন ভোটারেরা ভোট দিতে পারেনি। সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে জনগণের অধিকার হরণ করেছে। মানুষের উপর নির্যাতন নিপিড়ন চালিয়ে দেশের জনগণের অধিকার ভূলুন্ঠিত করেছে। 

তারুণ্যের সমাবেশ সম্পর্কে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চলছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। যাতে সকলেই ভোট দিতে পারে। মেধা দিয়ে নয় এখন দলের পরিচয়ে চাকরী হয়। এ কারণে প্রশাসন মেধা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। আমরা মেধাবী প্রশাসনের দাবিতে ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। 

তিনি বলেন, প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সমাবেশকে সফল করতে দিনকাজ কাজ করছেন বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকলেই। 

তুহিন বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারকে বিদায় করতে একদফা ডাক দেয়া হয়েছে। ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ একদফার আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে। খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ জনসমুদ্রে রুপ নেবে। 

সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি: খুলনা বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ সফল করতে প্রস্তুতি সভা করছে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি। বুধবার রাতে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে থানা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। থানা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জালাল শরীফ, মজিবর রহমান, একরামুল কবির মিল্টন, জামাল উদ্দিন, শাহাজালাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, মুসা খান, নজরুল ইসলাম, বাবু মোড়ল, মোস্তফা কামাল, হাবীবুর রহমান, আব্দুল জলিল, কাজী মিজান, ওহিদ হাওলাদার, জাহিদ খোকন, আরিফুর রহমান বিপ্লব, আবুল ওয়ারা, তরিকুল ইসলাম বাকার, মনিরুজ্জামান মনি প্রমূখ।

অপরদিকে, 

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৫টায় সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ১৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের সঙ্গে যৌথ কর্মী সভায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, রক্ত দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই কেবল নির্বাচন হবে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর চায় না। সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। 

তিনি আরো বলেন,  ফ্যাসীবাদী আওয়ামী দু:শাসনের অবসন ঘটিয়ে জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবীতে এক দফার আন্দোলন ও দেশ বাঁচাতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছে। তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে আহবান জানান তিনি। পরে সোনাডাঙ্গা থানা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু।     

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, আকরাম হোসেন খোকন, ইকবাল হোসেন, মাহবুব হোসেন, আলমগীর হোসেন আলম, শাকিল আহমেদ, মেজবা জামান মিন্টু, নাহিদ আল মামুন, আবু তালেব,  সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, শামীম খান, সমির সাহা, সুলতান মাহমুদ সুমন, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, এড. ওমর ফারুক বনি, মোল্যা আলী আহমেদ, শামীম আশরাফ, সৈয়দ হুমায়ুন কবির, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, মাসুদ রুমী, টিপু হাওলাদার, মারুফ হোসেন, ওহাব শরীফ, এ আর রহমান, সোহেল সরদার, নাইম ইসলাম, আসাদুজ্জামান সানা, তানভিরুল ইমরান, রাজিব খান রাজু, রবিউল ইসলাম, মো. মুন্না  প্রমুখ।