বৃষ্টি বিঘ্নিত ঈদুল আজহা মাংস প্রস্তুতে দুর্ভোগ

ঢাকা: বৃষ্টি বিঘ্নিত ঈদুল আজহা।  আল্লাহ সন্তুষ্টির আশায় সকাল থেকে রাজধানীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি করেছেন।তবে মাংস প্রস্তুতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবার।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদের দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট যাত্রাবাড়ীসহ এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।

শনিআখরা এলাকার আলহাজ্ব মফিজুল ইসলাম বলেন বিবিসি নিউজ 24 কে বলেন যাত্রাবাড়ী রায়েরবাগ এলাকার আব্দুর রব সাহেব বলেন

মসজিদ বা ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে এসেই সামর্থ্য অনুযায়ী কেনা গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ আল্লাহর নামে কোরবানি করেছন।

প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে সামনে সড়কে কোরবানির পশু জবাই করা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় ভবনেই পশু জবাই করেছে। পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছে সারাদেশে। বাড়ির ছেলে-মেয়ে, অন্য সদস্যরা এই কোরবানির জবাই থেকে শুরু করে মাংস প্রসেসিংয়ে মেতেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোরবানির পশু জবাইয়ের কাজটি বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্ররা এসে করে দিচ্ছেন। জবাই করার জন্য বড় গরু ৫০০ টাকা। ছোট্ট গরু ৩০০ টাকা বা যে যেমন টাকা দেয়। ছাগল জবাইয়ের জন্য দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা।

মাংস কাটার কাজটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চুক্তির ভিত্তিতে পেশাদার কসাইরা করছে। দুয়েকটি ক্ষেত্রে নিজেরাও করছে, এমন দেখা গেছে। কোরবানি দাতারা জানান, এক লাখ টাকার ওপরে দাম এমন কোরবানি পশুর মাংস প্রসেসিং খরচ ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ছাগলের মাংস প্রসেসিং করা হচ্ছে চুক্তির ভিত্তিতে।

শনিআখরা এলাকার আলহাজ্ব মফিজুল ইসলাম বিবিসি নিউজ 24 কে জানান, মাংস কাটার কাজটি পেশাদার কসাইকে দিয়ে করাচ্ছি। যাতে চামড়ার ক্ষতি না, আবার মাংসগুলো ঠিক মত হয়। আর গরু জবাই করে দিয়ে গেছে মাদরাসা হুজুরেরা। তাদের সন্তুষ্টি করার জন্য কিছু টাকা দিয়েছি।

যাত্রাবাড়ী রায়েরবাগ এলাকার আব্দুর রব সাহেব বিবিসি নিউজ 24 কে জানান জানান, তিনি নিজেই মাংস কাটছেন। একই কথা জানালেন একই মহল্লার আরজুল্লাহ হক।

আরজুল্লাহ হক বলেন, কোরবানির পশু বাড়িতে আনার পর থেকেই ছেলে-মেয়েরা গরু নিয়ে মেতে ছিল। গরুর সঙ্গে তারা খেলাধুলা শুরু করছিল। তারা গরুকে খাইয়েছে, গা ধুইয়ে দিয়েছে। সারাদিন গরুর কাছাকাছি থেকেছে, রাতে বাসায় উঠলে ভোরে আবার গরুর কাছে এসে হাজির।

রাজধানীর প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কোরবানির মাংস কাটার কাজের সঙ্গে পরিবারের প্রায় সবাই উপভোগ করছে।

বৃষ্টির কারণে চলাফেরার অসুবিধা হলেও আগে থেকে বৃষ্টির আভাস থাকার কারণে কোরবানির ক্ষেত্রে সবার প্রস্তুতি ছিল। বৃষ্টি বাগড়া দিলেও ব্যাহত করতে পারেনি। কোরবানির এখন ‘আনন্দের’ অংশ হয়ে গেছে। এ কারণে বৃষ্টি হলেও কোরবানির দেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষ খুব একটা ঝামেলা মনে করে না।