খাদ্য কর্মকর্তার অফিসে দূদকের অভিযান।
লুৎফুর রহমান হৃদয়,স্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ বিভাগঃ
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আগস্ট মাসের ২৮১ মেট্রিক টন চাল দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বুধবার (১৭/১২/২০২৫ ইং)কেন্দুয়ায় এসেছিলো ৫ সদস্যের দুদক অনুসন্ধানী টিম। টিমের নেতৃত্বে ছিলেন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ময়মনসিংহ অফিসের সহকারী পরিচালক রাজু মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন।
উল্ল্যেখ্য যে, কেন্দুয়া উপজেলার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চলতি বছরের আগস্ট মাসের জন্য বরাদ্দকৃত ২৮১ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য (চাল) কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযান চলা কালীন দুদক কর্মকর্তারা কেন্দুয়া উপজেলার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সকল ডকুমেন্টস পর্যবেক্ষণ করেন এবং কিছু সরকারি নথিপত্র অধিকতর তদন্তের স্বার্থে নিয়ে যান। পাশাপাশি নওপাড়া ডিলার আউট লেট ভিজিট করে ডিলার,ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের বক্তব্য রেকর্ড করেন।
কেন্দুয়ার ১৩টি ইউনিয়নের ২৬ জন ডিলারের অনুকূলে আগস্ট মাসে ২৮১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু হতদরিদ্র সুবিধাভোগীদের বড় অংশই জানান, তাঁদের আগস্ট মাসের চাল পেয়েছেন । অনেকে এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদারের কাছে ০৩/১১/২০২৫ইং লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে দেখা যায় কিছু ভোক্তা চাল পায়নি।
খাদ্য কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন যে, আগস্ট মাসের চালের ডিও দেয়া হয় ২০ তারিখ এবং ৩০ তারিখের মধ্যেই তা বিতরণ হবার কথা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে পাওয়া যায় কিছু ভোক্তা আগস্ট মাসের চাল পায়নি। পরবর্তীতে ডিলারদের নির্দেশ দেওয়া হয় যে সকল ভোক্তা চাল পায়নি তাদের অবিলম্বে চাল বিতরণের জন্য। পরে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ডিলাররা আগস্ট মাসে যে সকল ভোক্তা চাল পায়নি তাদের চাল বিতরণ নিশ্চিত করেন। কেন্দুয়া উপজেলায় ভোক্তারা শতভাগ চাল পেয়েছেন, কোন চাল আত্মসাৎ হয়নি।”
দুর্নীতি দমন ব্যুরো ময়মনসিংহ অফিসের উপ-পরিচালক রাজু মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন বলেন এ বিষয়ে, ‘ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। আমরা আজকের তদন্তে ভুক্তভোগী পর্যায়ে সেবাগ্রহীতা ও সংস্লিষ্ঠ ডিলারদের বক্তব্য রেকর্ড করেছি আর কিছু নথিপত্র অধিকতর তদন্তের স্বার্থে নিয়ে যাচ্ছি।অনিয়ম প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
