কেন্দুয়ায় জমির কাগজ নিয়ে বিরোধে উপজেলা সমবায় দলের সদস্য সচিবকে মারধর
মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষ রিপোর্টারঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দিঘলকুর্শা গ্রামে জমির কাগজপত্র নিয়ে বিরোধের জেরে রাফিউল আলম (৩৫) নামের উপজেলা জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সদস্য সচিবকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
৩ ডিসেম্বর বুধবার ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
আহত রাফিউল বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তিনি কেন্দুয়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সদস্য সচিব।
রাফিউল আলম জানান-একই এলাকার আওয়ামী সন্ত্রাসী তাপস মিয়ার কাছে তিনি তাঁর একটি জমি বিক্রির প্রস্তাব দেন। অভিযোগে বলা হয়- তাপস মিয়া জমির দলিল ও কাগজপত্র দেখার কথা বলে নিজের কাছে রেখে দেন। পরবর্তী সময়ে জমির মূল্য নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় রাফিউল কাগজপত্র ফেরত চান। তখন তাপস ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর ওপর চড়াও হন বলে দাবি রাফিউলের।
রাফিউল বলেন- তার কাছে কাগজ চাইতেই সে আমাকে মারধর শুরু করে। আমার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ভেঙে গেছে। আরও দুটি আঙুল গুরুতর আঘাত পেয়েছে। মারধরের পর সে আমাকে হুমকি দিয়েছে—মামলা করলে প্রাণে মেরে ফেলবে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আব্দুর রউফ, আক্কাস মিয়া ও হাসেম মিয়া জানান, হঠাৎ তাপস মিয়া রাফিউলের ওপর হামলা চালান এবং তাঁকে মারধর করতে থাকেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তাপস মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন-অভিযোগটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে আমার কোনো তথ্য নেই।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন- লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত শেষে ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
