বাবা-মায়ের কাছে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর আত্মহত্যা।

IMG-20251116-WA0036

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

বাবা-মায়ের কাছে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে সোনিয়া সুলতানা (২৪) নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।  লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে ন। নিহতের নাম । সোনিয়া সুলতানা রাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৯–২০২০ সেশনের (৬৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকার ইসলাম টাওয়ারের সাততলার একটি ফ্ল্যাট থেকে সোনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে ছিলেন তিনি। ওই ঘরে চারটি চিরকুট পাওয়া গেছে। পরিবারসহ ওই ফ্ল্যাটেই বসবাস করতেন সোনিয়া। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।

পুলিশ জানায়, সোনিয়ার ঘর থেকে রঙিন কাগজে লেখা চারটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। একটিতে লেখা ছিল-“আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার যেন পোস্টমর্টেম না করা হয়। আম্মু, আব্বু, ধ্রুবতারা-আমি তোমাদের খুব ভালোবাসি। আমাকে ক্ষমা করে দিও। আল্লাহকে বলো আমাকে মাফ করে দিতে।

অন্য চিরকুটগুলোতে তিনি লেখেন, “আমি প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছি মা। কবরের আজাব কীভাবে সহ্য করব! আব্বুকে বলবা আমার কবরের পাশে থাকতে।”
“আব্বু আম্মু, তোমরা আমাকে মাফ করে দিও। তোমাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না। আমার অনেক স্বপ্ন ছিল মা, কিছুই পূরণ করতে পারলাম না।”
“আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি, বিশ্বাস করো তোমরা। কিন্তু নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে আর পারলাম না।”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি।”

নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। সোনিয়া চিরকুটে ময়নাতদন্ত না করার অনুরোধ জানায়, পরিবারও একই অনুরোধ করেছে। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।”