ঠাকুরগাঁওয়ের শীতের আগমনে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

IMG-20251116-WA0004

মোঃ আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি:

উত্তরের জেলা পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে শীত নেমে এসেছে আগেভাগেই। দিনের বেলায় রোদ থাকলেও সন্ধ্যা ঘনাতেই নেমে আসে কনকনে ঠান্ডা। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেপ-তোশকের চাহিদা। শীতের এই মৌসুমে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিভিন্ন বাজারজুড়ে চলছে লেপ-তোশক তৈরির ব্যস্ততা। দোকানে দোকানে সেলাই, তুলা ধুন্দুল করা, তুলা ভরা, কাপড় কাটাসহ লেপ তৈরির বিভিন্ন ধাপে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। রুহিয়া রামনাথ বাজারের লেপ ব্যবসায়ী মোঃ তাহিরুল ইসলাম জানান, শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অর্ডারের চাপ বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২টি লেপ বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ৪-৫ হাত সাইজের লেপ ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকায়, তোশক ১,২০০ থেকে ১,৮০০ টাকায়, বালিশ ১২৫ থেকে ২২৫ টাকা এবং কোলবালিশ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তার দোকানে দেখা যায়, কারিগররা সকাল থেকেই লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কারিগর মোঃ ফিরোজ ইসলাম ও মোঃ এনামুল হক জানান, এবারের শীতে চাহিদা গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি। তারা বলেন, প্রতি লেপ থেকে আমরা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করি। একই বাজারের আরেক কারিগর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, শীত যত বাড়বে, অর্ডার ততই বাড়বে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। ১৪নং রাজাগাঁও ইউনিয়ন থেকে লেপ কিনতে আসা সেলিম ইসলাম জানান, এবার শীত একটু আগে শুরু হওয়ায় লেপ কিনতে এসেছি। লেপগুলো খুবই ভালো, তাই দুইটি লেপ কিনে নিলাম। ভালো তুলা ব্যবহারের কারণে দাম কিছুটা বেশি পড়েছে। আগের বছরের তুলনায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি লাগছে। আটোয়ারী উপজেলার রামপুর থেকে আসা আব্বাস আলী জানান, কয়েক বছর আগে বানানো লেপটি এবার নতুন তুলা দিয়ে মোটা করে নিচ্ছেন। এতে নতুন লেপ কেনার চেয়ে খরচ কম হচ্ছে বলে জানান তিনি। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রুহিয়া বাজারের লেপ-তোশক তৈরির দোকানগুলোতে জমে উঠেছে ব্যবসা। এতে খুশি ব্যবসায়ী ও কারিগররা।