ফিরোজের প্রতারণায় উড়ে গেল ৮-হাজার দিনার: প্রবাসী সেলিমের ন্যায়বিচার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ পরিবার।
বিশেষ, প্রতিবেদকঃ
প্রবাসী সেলিম মিয়া কুয়েতে দীর্ঘ পরিশ্রম করে যে অর্থ উপার্জন করেছেন, সেই ঘামঝরা কুয়েতি ৮০০০ দিনার—বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৫ লাখ টাকারও বেশি—চতুর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আত্মসাৎ করেছে ফিরোজ নামের এক ব্যক্তি। কুয়েতে অবস্থানরত সেলিমের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ফিরোজ ধীরে ধীরে টাকা নেওয়ার পর আজ পর্যন্ত ফেরত দেয়নি। এমনকি নিজ মুখে স্বীকারও করেছে যে, সে টাকা দেবে “ধীরে ধীরে”—যার অডিও রেকর্ডও রয়েছে।
সেলিমের মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন আজ নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। পরিবারটি ভেঙে পড়েছে চরম হতাশায়। তারা একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ সেলিমের টাকায় স্বপ্ন দেখেছিল—কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন ভস্মে পরিণত হয়েছে। প্রবাসে থাকা সেলিম প্রতারিত হয়ে মানসিকভাবে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন, রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কষ্টার্জিত সেই টাকাই ছিল তার জীবনের একমাত্র ভরসা, যা দিয়ে পরিবারকে টিকিয়ে রাখার আশা করেছিলেন।
পরিবারের দাবি—সেলিমের প্রতি ফিরোজ যে ভয়াবহ প্রতারণা করেছে, তা কেবল অর্থনৈতিক নয়, এটি মানবিক অপরাধও বটে। তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে ফিরোজকে আইনের আওতায় আনা হয় এবং প্রবাসী সেলিমের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সেলিমের পরিবার জানিয়েছে, তারা বাড়ির জমিজমা বিক্রি করে সেলিমকে বিদেশে পাঠিয়েছিল। বহু আশা ও ত্যাগের বিনিময়ে সেই প্রবাস জীবনের প্রতিটি টাকাই ফিরোজ লুটে নিয়েছে। প্রশাসনের কাছে তাদের আবেদন—এই প্রতারণার দ্রুত বিচার করা হোক, যাতে আর কোনো প্রবাসী এমন আন্তর্জাতিক প্রতারণার শিকার না হয়। বাংলাদেশ প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রবাস কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতি পরিবারের করুণ আবেদন—সেলিমের পাশে দাঁড়ান, ফিরোজকে আইনের মুখোমুখি করুন।
,
