সফল কর্পোরেট ও পলিটিক্যাল আইকন মার্কেটিং সুপারস্টার গণ মানুষের নেতা সৈয়দ আলমগীর

IMG-20251030-WA0007


লুৎফুর রহমান হৃদয়, (নেত্রকোনা জেলা) স্টাফ রিপোর্টারঃ


সৈয়দ আলমগীর বাংলাদেশের বিপনন জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। বিভিন্ন কৌশলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ পণ্য বিভিন্ন ব্রান্ড নামে সাফল্যের সঙ্গে বাজারজাত করে সৈয়দ আলমগীর এক অনন্য উচ্চতায় নিজেকে অধিষ্টিত করেছেন, যা ইতিপূর্বে কোন বাংলাদেশী প্রফেশনাল করতে সক্ষম হননি। তিনি তার উদ্ভাবিত ১০০% হালাল সাবান বাজারজাত কারণে বিশ্বে হালাল কনসেপ্টকে পরিচিত করে দেন। বিশ্বে এখন হালাল মার্কেট ২.৭১ ট্রিলিয়ন ডলার যা ২০৩৩ সনে ৫.৯১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নিত হবে বলে অনুমান করা যায়। যার মূল উদ্ভাবক সৈয়দ আলমগীর। উপমহাদেশে প্রথম ব্যক্তি, যার নাম বিশ্বখ্যাত “ফিলিপ কটলার এর প্রিন্সিপাল অব মার্কেটিং” বইয়ে তার হালাল কনসেপ্ট এর কারণে ২০১৩ সনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এই বইটি বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত মার্কেটিং এর ছাত্ররা মার্কেটিং বাইবেল হিসাবে গণ্য করেন এবং ক্লাসে টেক্সট বুক হিসাবে অধ্যায়ন করে থাকেন। মিঃ আলমগীর পূণরায় ২০২৩ সনে কটলার এওয়ার্ড ২০২৩ এ ভূষিত হন, যা এক অনন্য সম্মান। ইতিপূর্বে চ্যালেন আই ও ব্যান্ড ফোরাম এক জরিপের মাধ্যমে সৈয়দ আলমগীরকে মার্কেটিং সুপার স্টার হিসাবে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে হোটেল রেডিসন এ তৎকালীন শিল্প মন্ত্রী দেশের সমস্ত বিশিষ্ট কর্পোরেট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রদান করেন, যা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত অন্য কেউ হতে পারেন নি। জনাব আলমগীর “বেষ্ট রিটেইল পারসন এওয়ার্ড” মুম্বাই এর তাজ হোটেলে অনুষ্ঠিত এসিয়ান রিটেইল কংগ্রেস কৃর্তৃক ২০১৪ ভূষিত কর্পোরেট হন। এছাড়াও দেশে ও বিদেশে তার মার্কেটিং ও কর্পোরেট সফলতার জন্য বিপুল পরিমাণ সম্মাননা লাভ করেন। তিনি ২০০২ সালে বেষ্ট মার্কেটিং ডাইরেক্টর হিসাবে র‍্যাপোর্ট বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হন। সৈয়দ আলমগীর এর জন্ম নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায়। কেন্দুয়া থেকে এস.এস.সি পাশ করে ঢাকায় কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে অধ্যায়ন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনষ্টিটিউট।
আই.বি.এ থেকে এম.বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঔষুধ কোম্পানী সানোফি এভেনিষ্ট (তৎকালীন মে এন্ড বেকার) কোম্পানীতে রিজিওন্যাল চীফ হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৬ বছরে জনাব আলমগীর ৭টি পদোন্নতির মাধ্যমে চীফ অফ মার্কেটিং এন্ড সেলস হিসাবে উন্নীত হন। ১৯৯১ সালে যমুনা গ্রুপে গ্রুপ মার্কেটিং ডাইরেক্টর হিসাবে যোগদান করেন। ৫টি নতুন বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে এক নতুন দিগন্তের সূচনা কে করেন। পেগাসাস সুজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রথম বাটা কোম্পানীকে প্রতিযোগীতার সম্মুখীন করাতে সক্ষম হন। এরোমেটিক কসমেটিকস লিঃ এর এক অনন্য সফলতা ১০০% হালাল সাবান ও অন্যান্য ৪৫টি পণ্য বাজারজাতের মাধ্যমে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কনসুমার কোম্পানি ইউনিলিভারকে সর্বপ্রথম প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ করাতে সক্ষম হন এবং প্রতিযোগিতায় লাক্স সাবানকে পরাজিত করতে সক্ষম হন। তার করতে এই সফলতায় তিনি বিশ্বব্যাপি সমাদৃত হন। বিশ্বের নামকরা কোম্পানী কোলগেট এর চেয়ারম্যান জনাব আলমগীরকে নিউইয়র্ক ডেকে পাঠান এবং সমাদৃত করেন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অনন্য উদ্ভাবন কেইস স্টাডি হিসাবে আলোচিত হয়। ১৯৯৮ সালে সৈয়দ আলমগীর এসিআইতে নির্বাহী পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসাবে উন্নীত হন। এসি আইতে তার জীবনে সবচেয়ে বড় সাফল্য অর্জন করেন। সুদীর্ঘ ২৩ বছর এসি আইতে কর্ম জীবনে তিনি অসাধারণ সফলতা আনয়ন করেন। একটি ছোট কনজুমার ব্রান্ড কোম্পানিকে তার নেতৃত্বে বিশাল কোম্পানীতে রূপান্তরিত করেন। ৮ কোটি টাকা বার্ষিক বিক্রয়ের কোম্পানিকে ৩৫০০ কোটিতে উন্নিত করেন। এছাড়া তিনি অনেক বিদেশী বিনিয়োগকারী আনয়ন করেন। কোলগেট আমেরিকা, ভারতের টাটা, ডাবর, গোডরেজ, ডেনমার্কের কোরো সহ অনেক কোম্পানির সঙ্গে যৌথ কোম্পানী বাজারজাত প্রতিষ্ঠা করেন। অনেক অনেক নতুন পণ্য প্রস্তুত ও বাজারজাত করে এসি আইকে এক বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে আকিজ ভেঞ্চার মেঘনা গ্রুপ এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, তা চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসাবে বিভিন্ন পণ্যের উৎকৃষ্ট তা সাধন করেন তার দেয়া স্লোগান মোজো অন্তরে তারুণ্য, ক্লেমন ক্লিয়ারলী লেমন ও ফ্রুটস মানেই ফ্রুটিকা বিশাল জনপ্রিয় হয়। সৈয়দ আলগীর বি এন পির একজন একনিষ্ঠ কর্মী। এমবিএ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পরবর্তীতে তিনি গত ১৯ই মার্চ ২০১৬ বিএনপির ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের এর উপদেষ্টা হিসাবে নির্বাচিত হন। সৈয়দ আলমগীর গত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে অবর্ণনীয় অত্যাচারের সম্মুখীন হন। তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে বিস্ফোরক মামলা রুজুর মাধ্যমে কারাগারে ২মাস অন্তরীন রাখে। দুই-দুই বার রিমান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন জনাব ৫দিন বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখিন হন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেবের বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা ও কর্মপন্থা এমবি এ এসোসিয়েশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়মে প্রচার করার অপরাধে তাকে অন্তরীন করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিএনপিকে বিভিন্ন পরামর্শ অর্থ সাহয্য প্রদানের অভিযোগ আনীত হয়। সুদীর্ঘ ২মাস অন্তরীন রাখার পর জামীনে মুক্ত হন এবং গত ৮ বছর ১৪টি মামলার জন্য নিয়মিত কোর্টে হাজির হতে হয়। বর্তমানে ১টি মামলা চলমান। কেন্দুয়া আটপাড়া সংসদীয় আসনে চলমান তার নিজ এলাকায় ২০১০ সাল থেকে ১৫ বছর নিয়মিতভাবে যাতায়াত করেন মানুষের কষ্টে সাথে থাকেন। প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন স্থানে গমন করেন এবং জনগণের কথা শুনেন। এলাকায় প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান করেন। এলাকার মানুষের প্রচুর সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেন। জনাব আলমগীর প্রেসিডেন্ট জিয়ার একনিষ্ঠ ভক্ত এবং বেগম জিয়ার অনুসারি। কর্মজীবনের শুরুতে জনাব আলমগীর প্রেসিডেন্ট জিয়ার কর্মদক্ষতা, দেশপ্রেমে অভীভূত হন। প্রেসিডেন্ট জিয়ার কঠোর পরিশ্রম ও ব্যক্তিগত সততার নির্দশন দেখে তিনি মুগ্ধ হন এবং তা অনুকরণীয় মনে করেন বলে ব্যক্তিজীবনে তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ গভীরভাবে অনুধাবন এবং তার নিজের জীবনে প্রতিফলন ঘটান। জনাব আলমগীর এমবিএ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাপ) এর সভাপতি এবং মার্কেটিং ইনষ্টিটিউট অব বাংলাদেশ (এসআইবি) এর কনভেনর। তিনি এফ.এস.সি.জি এসোসিয়েশন এর চীফ এডভাইজর। জনাব আলমগীর ১৩ বছর ধরে পাবলিক সার্ভিসকমিশনের বিসিএস এর ভাইবা বোর্ডের সম্মানিত বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিসিএস পরীক্ষায়
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন। তিনি ইউনিসেফ প্রাইভেট সার্ভিস এডভাইসরি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য। উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডভাইজর এবং রাজশাহীর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ক্যারিকুলাম বোর্ডের সদস্য। এডজাকন্ট ফ্যাকাল্টি হিসাবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ক্লাসে দীর্ঘদিন পড়িয়েছেন। গত ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ তিনি সুইজারল্যান্ডে এর ডাবোস কনভেনশন সেন্টার এ ৩দিন ব্যাপি গ্লোবাল এসএমই সম্মেলনে Gust of Honor হিসাবে যোগদান করেন এবং উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান এ বক্তব্য প্রদানের সুযোগ পান। তার কর্মজীবনের উপরে একটি প্রামণ্য চিত্র দেখানো হয়। যা ছিলো অনন্য এবং একমাত্র তার উপরেই তা করা হয় বাংলাদেশ SME এর সদস্য, সমস্যা ও ভবিষ্যত সম্পর্কে তার দেওয়া বক্তব্য ভুয়সী প্রসংশা লাভ করে। উল্লেখ্য বিশ্বের ৫১টি দেশের সম্মানিত ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রী, চেম্বার প্রেসিডেন্ট বৃন্দ ও অন্যান্য গণ্যমাণ্য ব্যাক্তি এই সামিটে অংশ গ্রহণ করেন।
জনাব আলমগীর আসন্ন নির্বাচনে জাতীয়সংসদ ১৫৯ নেত্রকোন-৩ কেন্দুয়া আটপাড়া আসনের মনোয়ন প্রত্যাশা। তার অর্জিত জ্ঞান, বিদ্যা ও অভিজ্ঞতা তিনি তার এলাকা তথা বাংলাদেশের জনগনের করণে উৎসর্গ করতে চান।
আমরা তার সর্বোঙ্গীন সু স্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করি।