
মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,
খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ শহরের ভুটিয়ারগাতি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মুস্তাফিজুর রহমান সোহাগকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করায় ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে সংশ্লিস্ট থাকায় রাজা নামে এক যুবককে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। ধৃতরাজা ভুটিয়ারগাতির গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের ছেলে।
ঝিনাইদহ সদর থনায় দায়েরকৃত প্রাথমিক তথ্য বিবরনীতে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও ব্যবসায়ি মুস্তাফিজুর রহমান সোহাগকে এলাকার কয়েকজন চিহিœত যুবক কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে শুক্্রবার রাত সাড়ে সাত টার দিকে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি করে। তিনি তা দিতে অস্বীকার করলে তারা কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ১২-১৩ জনের দুর্বৃত্ত দল সোহাগকে বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকা বসি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে ঝিনাইদহ সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা রাজাকে একটি বাঁশ ঝাড়ের ভেতর থেকে আটক করে পুলিশে দেন।
মুস্তাফিজুর রহমান সোহাগ ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, তার মাথা কেটে গেলে সেখানে সাতটি এবং মুখের মধ্যে ছয়টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তাদের ভাষ্য, এই ঘটনার প্রধান হোতা বাদশা ও জাকির একেবারেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এলাকায় চাঁদাবাজি ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় রাজা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নামে সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা আল মামুন জানান, শনিবার থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের এক জনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকিদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।