ভালোবাসার অসমাপ্ত গল্প

— ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি? বেছ। তোমাকেও ভালোবাসতে হবে।
— ভালোবাসি না ভালোবাসি না ভালোবাসি না। আর কখনো ভালোবাসবো না।
— কি বললা।
তুমি কেন আমাকে ভালোবাসবে না। আমি দেখতে খারাপ জানি কিন্তু কোন দিক দিয়ে আমার যোগ্যতা কম আছে।
y – সেটা নয়

x তাহলে সমাস্যাটা কি

y কারণ তোমাকে আমার ভালো লাগে না।

y আমি যেমন ছেলে আমার লাইফ পাটনার করে চাই আপনি তেমন না।একদম আলাদা।
x তুমি কেমন ছেলে চাও। কি কি করলে তুমিও আমাকে ভালোবাসবে।
y আমি তোমাকে কখনওই ভালোবাসবো না।
X কিন্তু কেন???
Y আমার ইচ্ছে তাই।
X না তোমার ইচ্ছে না। তোমাকে আমাকে ভালোবাসতেই হবে। তুমি শুধু আমার।
y না আমি তোমাকে ভালোবাসবো না।
X- ওকে আমিও চেষ্টা করব । কিভাবে তোমার ভালোবাসা পাওয়া যায়৷
y ওকে যা ইচ্ছে করতে পারো কিন্তু ফলাফল শূন্যই হবে। কোন লাভ হবে না।
.
x শত চেষ্টা করে কষ্টটাকে বুকে চেপে মন খারাপ করে রেগে আগুন হয়ে চলে গেল। y কে অসম্ভব ভালোবাসে কিন্তু y কোনো পাত্তাই দিতে চায় না।
কারণ x একদম অন্যরকম ছেলেদের মতো করে সে চলে। অতি সাধারণ ভাবে তার ভিতরে স্মার্ট বলে কিছু নেই, তাছাড়া তার অন্য কোথাও ভালোবাসা ছিলো
আর এসব y একদমই পছন্দ করে না। তাছাড়া তার কথা তার যে হবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু তাই থাকবে।
x প্রেমেই ছেলেরা বেশি পড়ে। আমি ও পড়েছি

কিন্তু সে আগে yকে মনের মতো করবে তারপর বলবে নিজের ভালবাসার কথা।

একদিন ভার্সিটির সামনে a (নায়িকার বান্ধব) বসে আছে। তখনি একটা y এর আগমন ।
-a দোস আমার কিন্তু ছেলেটার সাথে হয়ে গেছে। (a নায়িকা বন্ধু)
y কি হয়েছে গেছে।
A– প্রেম”
Y– ওহ, আমি তো ভাবছি বিয়ের আগেই মা হতে যাচ্ছিস।
A– উল্টা ভাবস ক্যান। কিরে ছেলেটা তো এই দিকেই আসছে
y পছন্দ হয় তোমার একদম যেরকম দেখছিলাম নারে ঠিক সেরকম মনে মনে আসলে তো। আরে এটা x না।
— হুম x ই তো।

সামনে হিরো x এসে
X কেমন লাগছে।

y অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলে হুম,

X a( নায়িকার বান্ধবীকে কে) ঐ তুই হা করে আসিস কেন। যা এখান থেকে।
A- -যাচ্ছি যাচ্ছি।
Y হা হা হা হা হা হুমম হা হা হা হাহ হাহ ।
X- হাসো কেন? (অবাক হয়ে)
-y- তোমাকে দেখে।
X– আমাকে দেখে হাসার কি আছে।
Y- আজকে কোনো অনুষ্ঠান নেই তুমি এই (সুন্দর পোসাক) পড়ে এসেছো কেন।
x আমার ইচ্ছে হইচে তাই

Y- হা হা সুন্দর লাগছে হু হু হু, খুব সুন্দর লাগছে।
X– সুন্দর লাগছে বলতে কি হাসতে হয় নাকি।বুঝেছি আমাকে একদম মানাচ্ছে না ওকে চেঞ্জ করে আস।
y আরে না না পাগল তোমার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আমার আমার অন্তরের ভেতর থেকে হাসি আসছে।
x সত্যি কি আমাকে খারাপ লাগছে।
Y– আরে না না খুব সুন্দর লাগছে। আমি তো তোমার প্রেমে পড়ে গেছি। হি হি হি।
-x আমাকে নিয়ে মজা করছো।
–y না তো মজা কেন করব। আজব
-x তাহলে এমন হাসছো কেন।
Y– হাসি আসতেছে আমি কি করব কাদবো না কি ব্যা ব্যা করে।
–…X…???(চুপ করে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে । চোখের কোনো হালকা পানিও জমে গেছে। মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে। অতঃপর বৃষ্টি নেমেই আসলো।)
Y– আরে – আরে তুমি কাঁদছো কেন??
–…x……???(শব্দহীন কান্না চলছে x এর চোখের নিচ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে এবং সেটা দিয়ে y তার হাতের আঙ্গুল দিয়ে পানিটা টেনে গালের দিকে লাগিয়ে দিল )
-y তুমি কাদো কেন???
–…x……??( কান্না আস্তে আস্তে তীব্র হচ্ছে, ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে লাগল)
-y তুমি কি বাচ্চা নাকি কাদছো কেন কান্না বন্ধ কর। সবাই দেখছে কিন্তু।plz তুমি একটা ছেলে মানুষ
.x – y এর কোনো কথা শুনছে কেদেই চলেছে। কিভাবে কান্না থামাবে কোনো উপায়ও খুজে পাচ্ছে না। শেষমেশ x এর হাত ধরে সোজা বুকে জড়িয়ে নিল।
.
y এবার তো কান্না বন্ধ করো ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি।
— …x…??( তাও কাদছে)
Y কান্না বন্ধ করো আমার জামা ভিজে গেছে তো।
-x ভিজুক।
— y আমার ঠান্ডা লেগে যাবে।
–x হাত বসে y কে বললো হাসছিলে কেন। কতো কষ্ট করে তোমার জন্য সেজেগুজে আসছি আর তুমি হাসো।
-y তা তো তোমাকে রাগাতে।
X– আমাকে রাগাতে নাকি কাদাতে।না কোনভাবেই আমাকে ভালো লাগেনা তাই।
–y না রাগলে কি কাদতে তুমি
–x আমাকে কাদাতে ভালো লাগে তাই না।
–y কি বলে পাগল তোমার কান্না থামাতে তো তোমার বুকে মাথা দিলাম ।
–x ঢং করো না। আমি জানি তোমার আমাকে কাদাতে ভালো লাগে।
–y সত্যি তোমাকে কাদাতে নয় রাগাতে ভালো লাগে।
X– হুম তাহলে এতোদিন ভালবাসি বলোনি কেন???
Y– ভালবাসি বললে কি এই সাজটা দেখতে পেতাম।
-x- তার মানে তুমিও আমাকে ভালবাসতে।
Y– আবার জিগায়।
X– আই লাভ ইউ বলো তুমি শুধু আমার আমার আমার
.

হঠাৎ বাইক এক্সিডেন্ট এ নায়কের মৃত্যু
z মেয়ে মা মা আমাকে আজকে বেড়াতে নিয়ে যাবে।
y হুমম আম্মু নিয়ে যাবো।
–z সত্যি মা ।
— y হুম সত্যি।
Z– তিন সত্যি বলো।
Y– সত্যি সত্যি সত্যি তিন সত্যি আজকে আমার অবনী মামণিকে বেড়াতে নিয়ে যাবো।
— আই লাভ ইউ মা, উমমমমমমমম্মা।
— আই লাভ ইউ টু মামণি, উমমমমমমমম্মা।
অবনী – মা সবার বাবা সবাইকে কত আদর করে আমার বাবা কোথায়

y হতবম্ভ হয়ে কি বলবে ভাবতে ভাবতে কি কি বলবে চিন্তায় মেয়ে আস্তে আস্তে বুঝতে শিখছে তাকে আর মিথ্যা বলে মানানো যাচ্ছে না। মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে (কল্পনায় অতীত জীবনের দৃশ্য)

অবনী – মা মা তুমি কেদো না আমার পাপা লাগবে না তুমি ই আমার পাপা এবং মা

y অবাক হয়ে মেয়ের কথা শুনতে থাকে । তখন

অবনী -মায়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে আমি আর কোনদিন পাপার কথা জিজ্ঞাসা করব না, মা তুমি আর কেঁদো না বলে, শরীর পুরা শক্তি দিয়ে জড়িয়ে ধরে মায়ের গালে চুমু দিলো অবনী। y অবনির মা ও দিলো অবনীর কপালে। ছোট্ট অবনী। x এর শেষ স্মৃতি।একমাত্র অবলম্বন
অবনীকে নিয়ে y আজো বেচে আছে। অবনীর জন্য জন্মদিনের কেক আনতে গিয়েই x (নায়কের) বাইক দুর্ঘটনায় জীবনাবসান ঘটে। পাঁচবছর হয়ে গেল x পৃথিবী ছেড়ে y ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে আর দিয়ে গেছে আজকের ছোট্ট পাঁচবছরের অবনীকে।
.
x এর কথা ভাবতে ভাবতেই y অতীতে হারিয়ে ছিল। কিন্তু y একা নয়, ছোট্ট অবনী আছে । তার স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে y আরেকটা বিয়ে করেনি। কারণ সৎ বাবা কেমন হয় কে জানে সেই ভয়ে y( নায়িকা) নতুন কাউকে x স্থানটি দেয়নি কমে যাবে তাছাড়া তার ঘরেও সন্তান হবে তখন x মেয়ে অবনীর আদর কমে যাবে।
আর তাই সোহেল x রেখে গেল 
ভালোবাসার অসমাপ্ত গল্প।
———————–