ডাঃ নাসির উদ্দীনের কন্যা লামিয়া’র ঐতিহাসিক সাফল্য

IMG-20251216-WA0004

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,
  খুলনা বিভাগীয় প্রধানঃ

সমগ্র হরিনাকুণ্ডু উপজেলা এবং বিশেষভাবে জোড়াপুকুরিয়া গ্রাম আজ এক ঐতিহাসিক সাফল্যের সাক্ষী হলো। স্থানীয় বরেণ্য চিকিৎসক ডা. নাসির উদ্দীন-এর একমাত্র কন্যা লামিয়া নাফি সদ্য প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ৮৪তম মেধাক্রম দখল করে দেশের চিকিৎসা শিক্ষার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজে (DMC) ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই অভাবনীয় সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক এবং পুরো এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে।

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর ভিড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে জায়গা করে নেওয়াটা যেন স্বর্ণ জয়ের সমতুল্য। সেই কঠিনতম লড়াইয়ে লামিয়া নাফি কেবল সফলই হননি, তিনি শীর্ষ ১০০ মেধার মধ্যে নিজের নাম লিখিয়ে দেখিয়েছেন, সুদূর মফস্বল থেকেও মেধা আর অধ্যবসায়ের জোরে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছানো সম্ভব।

লামিয়া নাফি, জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের পরিচিত মুখ ও মানবদরদী চিকিৎসক ডা. নাসির উদ্দীন-এর কন্যা। পিতার অনুপ্রেরণা এবং মাতার নিরলস সমর্থনই ছিল তাঁর এই স্বপ্নের যাত্রাপথের প্রধান পাথেয়।ডা. নাসির উদ্দীন উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, “আমার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল লামিয়া যেন শুধু ভালো চিকিৎসক নয়, একজন মানুষের মতো মানুষ হয়। এই ফল তার কঠোর পরিশ্রমের ফসল। আজ আমি শুধু পিতা হিসেবে নই, একজন হরিনাকুণ্ডুবাসী হিসেবে গর্বিত।”

লামিয়া’র এই বিজয়ে স্থানীয় সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন, লামিয়া নাফি কেবল উচ্চশিক্ষিত একজন ডাক্তার হবেন না, তিনি তাঁর নামের পাশে জুড়ে নেবেন ‘মানবিক ডাক্তার’ উপাধি। মানুষের প্রতি তাঁর দরদ এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা যেন তাঁর চিকিৎসা পেশাকে আরও মহিমান্বিত করে তোলে— এই প্রত্যাশা আজ জোড়াপুকুরিয়ার প্রতিটি মানুষের।

লামিয়া নাফি প্রমাণ করলেন, স্বপ্ন দেখলে তাকে সত্যি করা যায়। তাঁর এই কীর্তি আগামী প্রজন্মের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

You may have missed