আলু শুধু খাদ্য নয় শিল্প হিসেবে দেখতে চাই বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির
মো : আমিরুল ইসলাম,
দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে আলু উৎসবের। এ উৎসব উপলক্ষে ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপি চলে আর্ন্তজাতিক মেলা ও প্রদশর্নী। বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এ আলু উৎসবের আয়োজন করে। শুক্রবার সকালে আলু উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। গতকাল শনিবার ছিলো মেলা প্রদশনীর সমাপনী দিন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বানিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন- বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ কোল্ড ষ্টোরেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও গোপিনাথপুর হিমাগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো : ফরহাদ আহমেদ আকন্দ এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত হিমাগার মালিক, কৃষক, ব্যবসায়িক নেতা ও বিভিন্ন উদ্যোক্তা অংশ নেন।
বিভিন্ন স্টলে আলু দেখছেন বানিজ্য উপদেষ্টএবং অন্যান্যরা
আলু উৎসবে অংশ নিতে অনেক কৃষকের সঙ্গে জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা ও পওত্যাশার কথা। কৃষকনা বলেন হিমাগারে আলু রাখার খরচ অনেক বেশি এ খরচ কমাতে না পারলে কুষকদের লোকসান পোষাবে না।তাদের মতো ক্ষুদ্র বা মাঝারি কৃষকেরা নিজে এবং পরিবারের সদস্যরা মিলে চাষাবাদে শ্রম দেন। তারা এই শ্রমের মূল্য হিসেব করেন না
সে সময় তার টাকার প্রয়োজন ছিলো বলে হিমাগারে না রেখে সব আলু বিক্রি করে দিয়ে ভালোই করেছিলেন। হিমাগারে রাখলে কোনভাবেই তিনি আলু বিক্রি করে হিমাগারের ভাড়া পর্যন্ত দিতে পারতেন না। ভালো দাম পেয়ে মৌসুমে বিক্রি না করে তিনি আলু রেখে দিয়েছিলেন হিমাগারে। ফলে তারা ব্যাপক লোকসানের মুখোমুখি হয়েছেন। বাংলাদেশের অনেক কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরাই এ বছর আলু হিমাগারে রেখে বড় লোকসান গুণছেন।
