মহেশপুরে নিরবে চলে গেলো৫৪ তম হানাদার মুক্ত দিবস
মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,
খুলনা বিভাগীয় প্রধানঃ
৪ঠা ডিসেম্বর ঝিনাইদহের মহেশপুরে হানাদার মুক্ত দিবস। নিরবে চলে গেলো ৫৪ তম হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীকে হটিয়ে মহেশপুরকে হানাদার মুক্ত করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা।
১৯৭১ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর রাতে হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করে মহেশপুরকে শত্রুমুক্ত করে এবং ৫ডিসেম্বর সকালে বিজয়রে পতাকা ওড়াই তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ ফয়জুর রহমান চৌধুরীর নেতৃতে।
মহেশপুরে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামন্ডার আবু তালেব জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন ঐ সময় সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্ভয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এসময় তার বয়স ছিল ৩৫/৩৬বছর বিশাল জোয়ান একজন পুরুষ। সবসময় সে এসএমজি চালাতো। আগে থেকেই মুজাহিদ বাহিনীর অভিজ্ঞতা থাকায় ভারতের ট্রেনিং এ তার দক্ষতার পরিচয় ঘটে। মহেশপুর ৭/৮টি সম্মুখ যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। সব কয়টি যুদ্ধে মাহাতাব উদ্দিন অসীম সাহসিকতার কারনে মুক্তি যোদ্ধারা বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়। ২০ নভেম্বর ১৯৭১ সালে দত্তনগর ভয়াভহ সম্মুক যুদ্ধ হয়েছিলো। ৪ঠা ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা উত্তর-দক্ষিণ ও পশ্চিম দিক থেকে অভিযান চালিয়ে পাক-হানাদার বাহিনী রাতেই মহেশপুর হাসপাতাল ক্যাম্প ত্যাগ করে ঝিনাইদহের অভিমুখে চলে যায়।
তারা যাবার সময় ভালাইপুর ব্রিজটি ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। এতে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। ৫শে ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা মহেশপুরে পতাকা উত্তলন করে। পরের দির ৬ শে ডিসেম্বর সকালে পাক-হানাদার বাহিনী ঝিনাইদহ ছেড়ে চলে যায়। মহেশপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে সরকারি বা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা গেছে। এবিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি সারাদিন ঝিনাইদহে ছিলাম। এদিবসটির বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার পক্ষ থেকে আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের আহবায়ক সাহেব আলীর সাথে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগ করলে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।
