রুহিয়ায় স্বামীকে ডিভোর্সের পর হামলার অভিযোগ
মোঃ আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১নং রুহিয়া ইউনিয়নের মাটিগাড়া এলাকায় এক প্রতিবন্ধী স্বামীকে জোরপূর্বক ডিভোর্স দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে আরজিনা বেগম নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। স্বামী আনিসুর ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি তালাকনামা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হয় এবং দোকান থেকে তার মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনিসুর ইসলাম ও আরজিনা বেগমের বিবাহ হয় ১৩ থেকে ১৪ বছর আগে। বিবাহের আগে আনিসুরের চার সন্তান এবং আরজিনার পূর্বের সংসারের তিন মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। বিয়ের পর তারা পরিবারিক পরামর্শে একটি জমি ক্রয় করেন এবং সেখানে পাকা বাড়ি নির্মাণ করেন। আনিসুর ইসলাম অভিযোগ করেন, ভালোবাসার সম্পর্কের ভিত্তিতেই আমাদের বিয়ে। তার সব চাহিদা পূরণ করেছি। প্রতিবন্ধী ভাতাসহ দোকানের আয়-ব্যয়ের সমস্ত অর্থও তার কাছে রাখতাম। হঠাৎ একদিন পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো তালাকনামা পাই, কিন্তু তা গ্রহণ না করায় সে তার আগের পক্ষের সন্তানদের নিয়ে আমার উপর হামলা চালায় এবং আমার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, পরে আরজিনা নিজেই তার ঘরে আগুন লাগিয়ে আমাকে এবং আমার প্রথম পক্ষের ছেলের নামে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় মোটরসাইকেলটি ফিরিয়ে আনি। অন্যদিকে আরজিনা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিয়ের পর থেকেই সে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং বাড়িতে নানান ক্ষয়ক্ষতি করে। তাই গত ২৫ নভেম্বর একতরফাভাবে ডিভোর্স দেই। ডিভোর্সের পর সে আমার বাড়িতে এসে গত ২৭ নভেম্বর আমার ঘরে আগুন দেয়, এতে আমার বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে আরজিনা ডিভোর্সের পর আনিসুরকে ধরে আনতে গিয়ে ও মোটরসাইকেল নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি প্রতিবেশীর বাড়িতে রাখা হয়েছিল এবং পরে আনিসুর সহ তার লোকজন গাড়িটি নিয়ে যায়। এই ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
