ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তের বাড়িতে অবস্থান, রফাদফায় চায় সমাধান

IMG-20251204-WA0003

​মোঃ আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি:

​ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় নূর জামাল খোকন (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন নিপা আক্তার (২৬) নামে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ। এই ঘটনার জেরে স্বামী বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় অভিযুক্ত নূর জামাল খোকনের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেছেন ওই নারী। এ সময় নিপা আক্তার রফাদফার মাধ্যমে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন অন্যথায় আত্মহত্যার হুমকি প্রদান করেন। জানা যায়, রুহিয়া থানাধীন ২১নং ঢোলারহাট ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকার মৃত: আনোয়ার গাজীর ছেলে নূর জামাল খোকনের বিরুদ্ধে একই এলাকার আলামিনের স্ত্রী নিপা আক্তারের সাথে এই ঘটনা ঘটে। ​ভুক্তভোগী নিপা আক্তার জানান, গত ২৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আমি আমার রান্নাঘরে ভাত রান্না করছিলাম। এমন সময় খোকন আমার রান্নাঘরে ঢুকে আমার মুখ ও হাত চেপে ধরে অসৎ উদ্দেশ্যে। আমার প্রতিবেশী নারগিস ভাবি এটি দেখে ফেলেন। নারগিসকে দেখে নূর জামাল খোকন আমাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। ​তিনি আরও জানান, আমি প্রথমদিন ভয়ে স্বামী আলামিনকে বিষয়টি জানাই নি। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) আমার স্বামী আলামিন যখন বিষয়টি জানতে পারেন, তখন সে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তাই আজ দুপুরে আমি নূর জামাল খোকনের বাড়িতে চলে এসেছি। খোকন যেহেতু আমার শরীরে হাত দিয়েছে এবং আমার সংসার ভেঙেছে, তাই আমি তার শাস্তি চাই। তবে আমি নূর জামাল খোকনকে বিয়ে করবোনা, এমনকি তার নামে মামলাও করবোনা। আমাকে কিছু দিয়ে সমাধান করে আলামিনের বাড়িতে দিয়ে আসুক। আর যদি এটার সমাধান না হয়, তবে আমি এখানেই (নূর জামাল খোকনের বাড়িতে) আত্মহত্যা করবো।অভিযুক্ত নূর জামাল খোকন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, আমি আমার পাওনা টাকা ফেরত চাইতে নিপা আক্তারকে ডাকতে ডাকতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। এসময় নিপার মেয়ে ঘর থেকে বলে তার মা রান্নাঘরে। তাই আমি রান্নাঘরে ঢুকেছিলাম। এখন যদি নিপা বলে আমি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছি, তবে আমার বলার কিছুই নেই। আর যদি নারগিস ভাবি আমাদেরকে দেখে থাকেন, তবে তিনি সেদিন আমাদের আটক বা চিৎকার করলেন না কেন।? জানা গেছে বুধবার রাত থেকে একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে নিপার স্বামী আলামিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি এমন বউকে আমার ঘরে রাখবোনা। সে কোথায় যাবে না যাবে সেটা তার ব্যাপার। স্থানীয় জনগন জানান, নিপা ও নূর জামাল খোকন উভয়কেই নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের গুঞ্জন রয়েছে। তারা বলেন, নূর জামাল খোকনের এর আগেও এমন অনেক ঘটনা আছে। সে মানুষকে টাকা দেয় এবং টাকা তোলার সময় শরীর ও হাতের উভয় কাজ সেরে নেয়। আমরা চাই, এলাকার স্বার্থে এই দুই ব্যক্তির কঠোর শাস্তির মাধ্যমে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হোক। এ বিষয়ে ২১নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বলেন, আমাকে এখনো কেউ বলেনি এবং কি আমি জানিনা। তবে ধর্ষণ বিষয়ে বসে মিমাংশা করে দেওয়ার আমার কোন ক্ষমতা নেই, এরজন্য আইন রয়েছে।