ঝিনাইদহ -১ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হচ্ছেন সাংবাদিক সাহিদুল এনাম পল্লব

IMG-20251203-WA0040

মোঃ আবু সাইদ
খুলনা বিভাগীয় প্রধানঃ

ঝিনাইদহ-১ থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ উপলক্ষে নির্বাচনে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন কমরেড সাহিদুল এনাম পল্লব। কমরেড সাহিদুল এনাম পল্লব ১৯৬৯ সালের ৩১ শে অক্টোবর শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের কৃপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ মাসুদুল ইসলাম মিয়া ও মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। তার পিতা মাসুদুল ইসলাম মিয়া আবাইপুর ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের মধ্যে একজন ক্রীড়া অনুরাগী সমাজ সেবক ও সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

তার যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে কমরেড সাহিদুল এনাম পল্লব ১৯৮১ সালে কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পাশের পরে কামান্না বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ৫ বছর পড়াশোনা করে কিন্তু এক শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করার কারণে ১৯৮৬ সালে এই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি। অবশেষে ১৯৮৭ সালে আবাইপুর রামসুন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তৃতীয় বিভাগে এসএসসি পাস করেন। এসএসসি পাশের পরে ঝিকরগাছা শহীদ মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হয়। প্রচন্ড অর্থনৈতিক অভাব এবং রাজনীতিগত কারণে পরে ১৯৯২ সালে মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৯৫ সালে মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় থেকে বিএসএস (স্নাতক) দ্বিতীয় বিভাগের উত্তীর্ণ হয়। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে এলএলবি ভর্তি হলেও আর পড়া হয়ে ওঠেনি পরে রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার ডিগ্রী করার চেষ্টা করে সেটা সফল হয়নি।

নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে মাস্টারদা সূর্যসেনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীতে ১৯৮৪ সালে যোগদানের মাধ্যম দিয়ে ছাত্র রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৮৫ সালে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আবাইপুর ইউনিয়ন কমিটি গঠন হলে তাকে ইউনিয়ন কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এই সময়ে শৈলকুপায় তার রাজনৈতিক সহ সহযোদ্ধারা সর্বহারা পার্টির সাথে যোগদান করলে সে এসএসসি পাস করার পর যশোরের ঝিকরগাছা শহীদ মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হয়। ১৯৮৮ সালে ঝিকরগাছা উপজেলা শাখার ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ঝিকরগাছা থেকে ৯২ সালের দিকে মাগুরাতে প্রস্থান করেন। তখন মাগুরা থাকাকালীন সময়ে ৯৪ সালে মাগুরা জেলার বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সম্মেলনের মাধ্যম দিয়ে প্রথমে জেলার সহ সভাপতি পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে ৯৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন। মাগুরা থেকে ঝিনাইদহে আসলে ১৯৯৭ সালে ওয়ার্কার্স পার্টির কালীগঞ্জের পৌর সেলে যুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ওয়ার্কার্স পার্টির শৈলকুপা সেলের সাথে যুক্ত হন। ২০০১ সালে উপজেলা ১১ দলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া এই সময়ে তিনি শৈলকূপ উপজেলা জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন । ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাজধানী আবুধাবিতে কর্মসংস্থানের জন্য চলে যান। ২০০২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রবাসে ছিলেন। প্রবাসী থাকাকালীন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির একটি শাখা গঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে চলে আসলে তিনি বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির ঝিনাইদহ জেলা শাখার বিকল্প সদস্য হিসাবে যুক্ত হন। ১৮ সালে জেলা পার্টির পূর্ণ সদস্য পদ লাভ করেন। ২০১৮সালের বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বিভ্রান্ত রাজনীতির সাথে দ্বিমত পোষণ করি ওই পার্টির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে প্রথমে ওয়ার্কার্স পার্টির মতাদর্শ রক্ষা কমিটি পরে ২০১৮ সালের ৩০ শে নভেম্বর ওয়ার্কার্স পার্টি মার্কসবাদী গঠন হলে তিনি এই পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক নির্বাচিত হয়। পরে ২০২০ সালে ওয়ার্কার্স পার্টি মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য পদ লাভ করে। ২০২৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) ঐক্যের মাধ্যম দিয়ে বিপ্লবী কম্যুনিস্ট লীগ গঠন হলে উক্ত পার্টির কেন্দ্রীয় বিকল্প সদস্য নির্বাচিত হন। তাছাড়া ২০১৯ সালে ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্ক্সবাদী) ঝিনাইদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সাল থেকে অদ্যবাদী বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ঝিনাইদহ জেলার সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছেন। তাছাড়া ২০২৩ সাল থেকে ঝিনাইদহ জেলার বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক এর দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঝিনাইদহ জেলার অন্যতম একজন জুলাই যোদ্ধা। ১৭ই জুলাই ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলা হলে তার নেতৃত্বেই ঝিনাইদহ পুরাতন ডিসি কোর্টের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ৯০ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যশোরের ঝিকরগাছা ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তার স্ত্রী স্বপ্না সুলতানা শৈলকুপা থেকে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সম্মানজনক ভোট প্রাপ্তি লাভ করেন। রাজপথের এই লড়াকু সৈনিক এবার শৈলকুপা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন শৈলকুপা বাসী যদি তাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন তাহলে তিনি শৈলকুপাকে দুর্নীতিমুক্ত সামাজিক সন্ত্রাসমুক্ত এবং মাদকমুক্ত শৈলকুপা গঠনে সর্বদা প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। শৈলকুপা পেঁয়াজ চাষীদের জন্য একটি অত্যাধুনিক পিয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরি করবেন। শৈলকুপার ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ভাবে গড়ে তোলার জন্য বিদ্যালয় এবং কলেজে আধুনিক বিজ্ঞানাগার গড়ে তুলবেন। শৈলকুপা হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালের রূপান্তরিত করবেন সেই সাথে ১৪ টি ইউনিয়নের এমবিবিএস ডাক্তারের মাধ্যম দিয়ে ইউনিয়নবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবেন। যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ভেটেনারি প্রশিক্ষণের মাধ্যম দিয়ে গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি পালনের মাধ