কর্ণফুলী টানেলের সার্ভিস এরিয়া নিয়ে ভিত্তিহীন নিউজ: আসল ঘটনা যা জানা গেল
নিজস্ব প্রতিবেদক
এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তর অবকাঠামো প্রকল্প কর্ণফুলী টানেল ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর উদ্বোধনের পর সাধারণ যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। টানেলটির মোট দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার। শুরুতে স্বাভাবিক যান চলাচল থাকলেও কিছু সময় পর যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি ও কিছু প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে চলাচলে সংকট দেখা দেয়।
তবে দেশের সার্বিক মানোন্নয়ন ও পর্যটনশিল্পকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে টানেলের দক্ষিণ প্রান্তে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক সার্ভিস এরিয়া।
পারকি সমুদ্র সৈকতের পাশে ৭৬ একর জায়গায় আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র
কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে, পারকি সমুদ্র সৈকতের পাশে ৭৬ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ ও আধুনিক এ সার্ভিস এরিয়া। এতে রয়েছে—
আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন হল
জুমা মসজিদ
স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র
মিউজিয়াম
দর্শনার্থীদের জন্য খেলার মাঠ ও বিনোদন কেন্দ্র
বিভিন্ন আয়োজনের জন্য পৃথক স্থান
রিসোর্ট, রিসেপশন ও করিডোর
৩০টি বাংলো, প্রতিটিতে ৩টি করে কটেজ
নদী–সমুদ্র মিলনমেলার দৃষ্টিনন্দন ভিউ
নদীর মোহনা ঘিরে গড়ে ওঠায় এ পর্যটন এলাকা খুব অল্প সময়েই দর্শনার্থীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিদিনই দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ছে পারকি সমুদ্র সৈকত, ফুলতলী বীচসহ পুরো এলাকাজুড়ে।
৯৮% কাজ সম্পন্ন, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে হস্তান্তরের পরিকল্পনা
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে—
মোট ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সার্ভিস এরিয়ার ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি অংশের স্ব-সজ্জিত কাজ সম্পন্ন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে তিনজন নিলাম-জয়ী মালিকের কাছে ২৯ বছরের জন্য হস্তান্তর করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।
সরকার পরিবর্তনের কারণে উদ্বোধন বিলম্ব, সুযোগ নিচ্ছে কুচক্র মহল
আগের সরকারের আমলে এ প্রকল্প উদ্বোধনের উদ্যোগ থাকলেও সরকার পরিবর্তনের পর সময়সূচিতে ভিন্নতা দেখা দেয়। এই বিলম্বকে কেন্দ্র করে কিছু সুবিধাবাদী মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
গণমাধ্যম কর্মীরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান—
ছড়ানো অনেক তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন
সার্ভিস এরিয়া নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম বা সংকোচনের সুযোগ নেই
প্রকল্পটি দেশের পর্যটন শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
দেশি–বিদেশি পর্যটকদের নতুন গন্তব্য
দুর-দুরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করতেই এ সার্ভিস এরিয়া নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধনের আগেই পারকি সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিন দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ছে, কিন্তু উদ্বোধন না হওয়াতে সার্ভিস এরিয়াটির বাহিরে ফোটো সেশন করে বিভিন্ন ছড়িয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে। কতৃপক্ষ জানান আমরা শীগ্রই উম্মুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করছি। যা ভবিষ্যতে এটি দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
