সন্তান লাভের আশায় বটগাছের নিচে বসে শাড়ীর আঁচল পেতে অপেক্ষা

IMG-20251123-WA0006


‎‎মনিরুল ইসলাম, নাটোর প্রতিনিধিঃ
‎নিঃসন্তান নারীর সন্তান কামনায় চলছে বটগাছের নিচে আঁচল পেতে অপেক্ষা।
‎নাটোরের লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের গোঁসাইজীর আশ্রমে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসব। ওই উৎসবের অংশ হিসাবে একদিকে যেমন চলছে রান্না আর খাওয়া, অপরদিকে নিঃসন্তান নারীর সন্তান কামনায় চলছে বটগাছের নিচে আঁচল পেতে অপেক্ষা।
‎শনিবার (সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ওই নবান্ন উৎসবের নানা আয়োজন। তবে আধুনিক বিজ্ঞান এবং ধর্মমতে ওই কাজ অগ্রহণযোগ্য বিধায় বিরত থাকা প্রয়োজন এমন মত সংশ্লিষ্টদের।
‎আশ্রম কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর ২২ নভেম্বর ওই আশ্রমে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুদের আগমন ঘটে।
‎স্থানীয় অধিবাসী আবু তালেব জানান, নবান্ন উৎসবে শনিবার(২২ নভেম্বর) সকাল থেকেই শুরু হয়েছে রান্না আর খাওয়া। তবে ব্যতিক্রম দৃশ্য হলো ওই আশ্রম এলাকায় রয়েছে শতবর্ষী এক বটগাছ।
‎সন্তান লাভের আশায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা বহু নিঃসন্তান নারী আশ্রমের শতবর্ষী ওই বটগাছের নিচে ভেজা আঁচল পেতে প্রার্থনায় মনোনিবেশ করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টার এভাবেই বসে থাকেন তারা। তাদের বিশ্বাস, গাছের কোনো ফল বা পাতা আঁচলে পড়লে তা সন্তান লাভের লক্ষণ বলে বিবেচিত হবে।
‎নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এমকে অনার্স কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক এবং নাটোর এনএস সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অলোক মৈত্র জানান, আধুনিক বিজ্ঞান মতে এসকল কাজ সন্তান লাভের মাধ্যম নয়। বরং এগুলোকে কুসংস্কার হিসাবেই গণ্য করা হয়।